বিজ্ঞাপন

জাতিসংঘে ভ্যাকসিন প্রাপ্যতার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী

October 25, 2020 | 6:02 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেট

ঢাকা: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা ও সহজলভ্যতা নিশ্চিত করার ‍গুরুত্ব তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে তিনি অধিবেশনে বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়, বিশেষ করে রোহিঙ্গা সংকটের কথাও তুলে ধরেছেন।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ে সীমিত পরিসরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চুয়াল এই বৈঠকে নিজের সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা সচিবালয় থেকে যুক্ত হন।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ব্রিফিংয়ে জানান, প্রধামন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনে ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে অংশ নেয়। এ বিষয়টি মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে। রোহিঙ্গা সমস্যাটি এবার গুরুত্ব সহকারে আলোচিত হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এছাড়া করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিনের বিষয়টিও তিনি অধিবেশনে তুলে ধরেছেন।

মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং একটি শান্তিপূর্ণ ঐক্যবদ্ধ বিশ্ব গঠনে বাংলাদেশের অবদান বর্ণনা করেন। বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রাধিকার বিষয়গুলোও তিনি তুলে ধরেন। এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে তিনি কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা ও সহজলভ্যতা নিশ্চিত করার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন, যা উদয়ীমান অর্থনীতির দেশ হিসেবে ফলপ্রসূ অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সাধারণ পরিষদে সম্মিলিত ঘোষণা বাস্তবায়নে বাংলাদেশের অঙ্গীকার এবং বিশ্বের নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান, প্রযুক্তিগত অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা, জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণ, নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী উন্নয়ন নিশ্চিত করতে করণীয় বিষয়ে যেসব প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী উপস্থাপন করেছেন, তা প্রশংসিত হয়েছে। সব মিলিয়ে জাতিসংঘের এবারের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

দেশে করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রাথমিক পর্যায় থেকে ‘ইন্টারন্যাশনাল প্রিপেয়ার্ডনেস রেসপন্স প্ল্যান ফর কোভিড-১৯’ প্রণয়ন করেছিল। বর্তমানে ৯৩টি কেন্দ্রে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৫০টি কেন্দ্র বেসরকারি। প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে দুই হাজার চিকিৎসক ও চার হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় এই বাড়তি জনবল বড় ধরনের অবলম্বন হিসেবে কাজ করেছে।

এর বাইরেও স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে দুই হাজার ৬৫৪ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করেছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

তিনি আরও বলেন, দেশের ৬৪ জেলায় পাঁচ হাজার ১০০ ডাক্তার এবং এক হাজার ৭০০ নার্সকে আইডিসিআরের (রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান) মাধ্যমে করোনাভাইরাসের ব্যবস্থাপনা ও সংক্রমণ প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে ওরিয়েন্টশন দেওয়া হয়েছিল। তারা করোনা মোকাবিলায় সক্ষম হয়েছে।

বর্তমানে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি জাতীয় কমিটি করোনাভাইরাসের বিভিন্ন দিক মনিটরিং এবং চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত একটি কারিগরি কমিটি কারিগরি কার্যক্রমগুলো মনিটরিং করছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন