বিজ্ঞাপন

মিনি করমেলায় রিটার্ন দাখিলে ভোগান্তিতে করদাতারা

November 25, 2020 | 3:47 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ ১০ বছর পর এবার আয়কর মেলা হচ্ছে না। তবে কর অঞ্চলগুলোতে হচ্ছে মিনি করমেলা। আর এই করমেলাগুলোতে রিটার্ন দাখিল করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়ছেন করদাতারা। তাদের অভিযোগ, তথ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে গিয়ে তারা পর্যাপ্ত সেবা পাচ্ছেন না। বুধবার (২৫ নভেম্বর) কর অঞ্চল ৭ ও ১১ ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

কর অঞ্চল ৭-এ রিটার্ন দাখিল করতে আসা মো. মনোয়ার হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘তথ্যসেবা কেন্দ্রে বিস্তারিত তথ্য নেই। আমাদের বিস্তারিত তথ্য জানা দরকার। আমি যখন ফর্ম পূরণ করছি তখন অনেক কিছুই বুঝতে পারছি না। তথ্যসেবা কেন্দ্রে গিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলছে, ফর্মটা পূরণ করে জমা দিয়ে দেন। কিন্তু কোনো তথ্য ভুল হয়ে থাকলে আমাদেরই সমস্যায় পড়তে হবে।’

কর অঞ্চল ১১-তে রিটার্ন দাখিল করতে এসেছেন আব্দুর সাত্তার। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি তথ্যসেবা কেন্দ্রে গিয়েছিলাম কিন্তু তারা কোনো ধরনের সহযোগিতা করেনি। আমি সেখানে গিয়ে বলেছি, আমার ফর্মটা একটু দেখে দেবেন ঠিক আছে কিনা; প্রতিত্তুরে তারা জানালেন, ফরমে যা আছে দেখে পূরণ করে জমা দিয়ে দেন। তথ্যসেবা কেন্দ্রে দুজন থাকলেও তারা বলছেন, করোনাকালে এত সেবার কিছু নেই।’

শুধু কর অঞ্চল ৭ কিংবা ১১ নয়, মিনি করমেলায় বিভিন্ন কর অঞ্চলে অসংখ্য করাদাতারা রিটার্ন দাখিল করতে গিয়ে এমন ভোগান্তিতে পড়ছেন বলে জানা গেছে। নতুন কিংবা পুরাতন কম বেশি সবাই রিটার্ন ফর্ম পূরণ করতে বিপাকে পড়ছেন। কর অঞ্চল ১০-এ গিয়েও একই চিত্র চোখে পড়েছে। বেশিরভাগ করদাতাই বলছেন, তারা পর্যাপ্ত সেবা পাচ্ছেন না।

বিজ্ঞাপন

কর অঞ্চল ১১-এর তথ্যসেবা কেন্দ্রে সেবা দিচ্ছেন একজন বয়স্ক কর কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘রিটার্ন দাখিলের জন্য ফরম পূরণের সময় লেখালেখিতে কোনো সহযোগিতা করা হচ্ছে না। মৌখিকভাবে কিছু জানার থাকলে আমরা সহযোগিতা করছি। রিটার্ন লেখা বা বোঝানোর ক্ষেত্রে উপর থেকে আমাদের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। কোনো সমস্যায় পড়লে সংশ্লিষ্ট সার্কেলে যেতে হবে। সেখানে গিয়েই সমস্যা সমাধান করতে হবে।’

এ বিষয়ে কর অঞ্চল ১১-এর কমিশনার ম. মোতাহের হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমার কমিশনারেটে জায়গা কম। তাই যারা সেবা দিচ্ছেন তাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হচ্ছে। আমার জায়গা থাকলে সবকিছু সম্ভব হতো। আমরা মূলত রিটার্ন ও চালান ফর্ম দিচ্ছি করদাতাদের। আমাদের এখানে ব্যাংকের সেবাও নেই। করোনাকালে যে সেবা দেওয়া হচ্ছে সেটাই বা কম কি!’

এদিকে ভোগান্তির বিষয়ে জানতে কর অঞ্চল ৭-এর কমিশনার মো. হারুন অর রশীদকে ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেনি।

বিজ্ঞাপন

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাসের কারণে করমেলা না করার সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। করমেলাগুলোতে সবচেয়ে বেশি রিটার্ন দাখিল হয়। ফলে অন্যান্য সময় কর মেলায় যেমন আমেজ থাকে করোনার কারণে সেই আমেজ এবার দেখা মেলেনি।

সারাবাংলা/এসজে/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন