বিজ্ঞাপন

শান্ত-ইমনের ঝড়ে টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ সংগ্রহ রাজশাহীর

December 8, 2020 | 3:21 pm

স্পোর্টস ডেস্ক

টস জিতে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানালেন ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। আর ভুলটা সেখানেই করে বসলেন তামিম। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ঝড়ো ব্যাটিং রাজশাহীর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আর আনিসুল ইসলাম ইমনের। ইমন ৬৯ রানে আউট হলেও টুর্নামেন্টের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তাদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে রাজশাহী ৭ উইকেট হারিয়ে টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ ২২০ রান তোলে স্কোরবোর্ডে।

বিজ্ঞাপন

বল হাতে ইনিংসের প্রথম ওভার করতে আসেন তাসকিন আহমেদ। প্রথম ওভারে দিলেন মাত্র ৭ রান। এরপর মেহেদি হাসান মিরাজ বল করতে এসে দিলেন মাত্র ৩। তবে তৃতীয় ওভার থেকে খেলার চিত্র বদলাতে শুরু করল। সুমন খানের ওভার থেকে তিনটি চারে ইমন তুলে নিলেন ১৩ রান।

চতুর্থ ওভারে আবারও মিরাজ আসলেন, তবে এবার আর তাঁকে ছাড় দিলেন না ইমন। এক ওভারে তুলে নিলেন ১৭ রান। দুই ওভারে মাত্র ১০ রান থেকে চার ওভার শেষে রাজশাহীর সংগ্রহ দাঁড়াল ৪০। এরপর একে একে বল হাতে আসলেন আবু জায়েদ রাহি, কামরুল ইসলাম রাব্বি তবে লাগাম দিতে পারেননি রাজশাহীর রানের চাকায়। মাত্র ৩২ বলে দলীয় সংগ্রহ ৫০ করেন ইমন ও শান্ত।

৯ম ওভারে বল হাতে নিজের তৃতীয় ওভার করতে এসে প্রথম বলে শান্তর কাছে ছক্কার মার খান। দ্বিতীয় বলে করতে গিয়ে পায়ে টান খেয়ে মাঠ ছাড়েন স্টেচারে করে। তবে তখন রাজশাহীর দলীয় রান সংখ্যা ৮৬। এরপর ১০ ওভারে রান চাহড়াল ১০৭ কোনো উইকেট না হারিয়েই। এর ভেতর ২৫ বলে অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন আনিসুল ইসলাম ইমন। আর ঠিক পরের ওভারে মিরাজের বলে ছক্কা উড়িয়ে ৩১ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন শান্ত।

বিজ্ঞাপন

ইনিংসের ১৩তম ওভারে এসে সুমন খানের বলে আফিফের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইমন। তবে তাঁর আগে ৩৯ বলে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৬৯ রানে আউট হন ইমন। তিনি ফিরলেও উইকেটের আরেক প্রান্তে তাণ্ডব চালাতে থাকেন শান্ত। তাঁর তাণ্ডবে ১৬ ওভারেই ১৮০ রান তুলে ফেলে রাজশাহী।

তবে ১৭তম ওভারে সুমন খান রনি তালুকদারকে (১৮) তুলে নেন আর পরের বলে রান আউট হয়ে ফেরেন মেহেদি হাসান। তাতেই রানের চাকা কিছুটা ধীর হয়ে যায় রাজশাহীর। তবে অপর প্রান্তে শেষ পর্যন্ত শতক হাঁকিয়ে মাঠ ছাড়েন। ইনিংসের ১৯তম ওভারের ২য় বলে তাসকিনকে ছক্কা উড়িয়ে শতক পূর্ণ করেন শান্ত। শেষ পর্যন্ত শান্ত আউট হন ৫৫ বলে ১০৯ রান, ইনিংস সাজান ৪টি চার ও১১টি ছক্কায়। আর রাজশাহীর সংগ্রহ দাঁড়ায় নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২২০ রান।

শেষ ওভারে কামরুল ইসলাম রাব্বি হ্যাটট্রিক করলেও রানের পাহাড় গড়া থেকে থামাতে পারেননি। শেষ ওভারে রাব্বি নুরুল হোসেন সোহান (১২), শান্ত (১০৯) ও ফরহাদ রেজাকে (০) তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। আর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে তুলে নিয়ে এক ওভারে মোট চারটি উইকেট তুলে নেন তিনি। এছাড়াও ২টি উইকেট নেন সুমন খান।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএস

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন