বিজ্ঞাপন

চাল নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনে আসছেন খাদ্যমন্ত্রী

December 27, 2020 | 8:39 am

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: এবার একদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অন্যদিকে কয়েক দফা বন্যা, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দিতে গিয়ে সরকারি মজুত তলানিতে ঠেকেছে। অন্যদিকে আশানুরূপ ধান চাল সংগ্রহ না হওয়া, আবার বাজারেও চালের দাম বাড়তি। চালের দাম বাড়তি থাকার কারণে খেঁটে খাওয়া মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। চাল নিয়ে উদ্ভুদ্ধ পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হচ্ছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

বিজ্ঞাপন

রোববার ( ২৭ ডিসেম্বর) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে কথা বলবেন তিনি।

এদিকে চালের দাম বাড়তি থাকায় এবার বোরো মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহে লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকও অর্জন করতে পারেনি সরকার। আশা ছিল দ্বিতীয় মৌসুম আমন সংগ্রহ করে লক্ষ্য পূরণ করা যাবে। পাশাপাশি বাজারে বাড়তি থাকা চালের দামও নিয়ন্ত্রণে আসবে। কিন্তু বাস্তবতা ছিল ভিন্ন।

আমন মৌসুমের অর্ধেক সময় চলে গেলেও বাজারে চালের দাম কমেনি বরং বেড়েছে। এ পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার নিজেই চাল আমদানিতে জোর দিচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এরই মধ্যে প্রায় তিন লাখ টন চাল আমদানির প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, এবার বোরো ও আমন মৌসুমে ধান চাল সংগ্রহে ব্যর্থ হয়ে সরকার খাদ্যের মজুত নিয়ে অনেকটা বিপাকে পড়েছে। এমনকি মজুত থাকা খাদ্যশস্য অন্যান্য বছরগুলোতে এভাবে কখনো কমতে দেখা যায়নি। অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ধান চাল সংগ্রহ করতে না পেরে এখন আমদানি করে আপৎকালীন চালের মজুত বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।

জানা গেছে, আপাতত ৫ থেকে ৬ লাখ টনের মতো আমদানি করার চিন্তা রয়েছে। এরমধ্যে ভারত থেকে দেড় লাখ টন আমদানি করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকার নিজেই এ পরিমাণ চাল আমদানির কথা ছিল। কিন্তু বেসরকারিভাবেও চাল আমদানিতে শুল্ক কমানোর ইঙ্গিতও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কথা পাওয়া গেছে। জানা গেছে, গত বছর ২০১৯ সালে চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্ক বাড়িয়ে ৫৫ শতাংশ করা হয়। এবার তা কমানোর চিন্তা করছে সরকার।

খাদ্য অধিদফতর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারি খাদ্য শস্যের মজুত ৭ লাখ ৪৬ হাজার ৩৫০ মেট্রিক টন। এরমধ্যে চাল ৫ লাখ ৪২ হাজার ৬০ মেট্রিক টন। গম দুই লাখ ৪ হাজার ২৯০ মেট্রিক টন। গত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়,  এ সময়ে মজুতের পরিমাণ ছিল ১৩ লাখ ৮৬ হাজার ২৮০ মেট্রিক টন। এরমধ্যে চাল ১০ লাখ ৫৯ হাজার ৬০ টন এবং গম ছিল ৩ লাখ ২৭ হাজার ২২০ টন।

গত বোরো মৌসুমে সাড়ে ১৯ লাখ মেট্রিক টন ধান চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মাঠে নামলেও মাত্র ৯ লাখ ৪৩ হাজার ৯০২ মেট্রিক টন সংগ্রহ করতে পেরেছে। আর গত ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট আমন সিদ্ধ চাল সংগ্রহ হয়েছে ১৩ হাজার ৫৬৭ মেট্রিক টন, আতপ চাল ৪৪৮ মেট্রিক টন এবং ধান সংগ্রহ হয়েছে ৩০৬ মেট্রিক টন।

উল্লেখ্য, গত ৭ মে থেকে আমন মৌসুমে ধান চাল সংগ্রহ শুরু হলেও চালকল মালিকদের অনীহার কারণে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি। এ ক্ষেত্রে বাজারে চালের দাম বাড়তি থাকাকেই দায়ী করছেন চালকল মালিকরা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআর/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন