বিজ্ঞাপন

এ অনুভূতি সব বোধের ঊর্ধ্বে: তুখেল

May 30, 2021 | 4:01 am

স্পোর্টস ডেস্ক

হয়তো বাংলার বহুল ব্যবহৃত প্রবাদ ‘একবার না পারিলে দেখো শতবার’ অনুসরণ করেন জার্মান কোচ থমাস তুখেল। তাই তো ব্যর্থতাকে পেছনে ফেলে কীভাবে সফলতার বিজয় হাসতে হয় সেটা দেখালেন তিনি। ঠিক বছর খানেক আগে পিএসজির কোচ হিসেবে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা হারিয়েছিলেন। তবে তিনি ভেঙে পড়েননি। এক বছর পর ভিন্ন এক দল নিয়ে আবারও চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালের মঞ্চে তুখেল। তবে এবার আর পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে নয়, বিজয়ের বেশেই হাসতে হাসতে মাঠ ছেড়েছেন। আর ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন, চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের অনুভূতি সব বোধের ঊর্ধ্বে।

বিজ্ঞাপন

পড়ুন: সিটির স্বপ্নভঙ্গ, দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোপসেরা চেলসি

২০২০/২১ মৌসুমের মাঝপথেই পিএসজি থেকে বরখাস্ত হন তুখেল। এরপর জানুয়ারিতে ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডকে বরখাস্ত করে তুখেলের হাতে চেলসির ডাগ আউটের দায়িত্ব তুলে দেন ক্লাবটির রাশিয়ান মালিক রোমান আব্রাহামোভিচ। এরপরেই ধুঁকতে থাকা চেলসির চেহারা বদলে দেন এই জার্মান। প্রিমিয়ার লিগে ১৯টি ম্যাচের মধ্যে ১১টিতে জয়, পাঁচটি ড্র আর হার মাত্র তিনটিতে। অন্যদিকে চ্যাম্পিয়নস লিগে তার অধীনে চেলসির খেলা ৭টি ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতেই জয় বাকি দুই ম্যাচে একটি করে হার ও ড্র।

ইউরোপসেরার মুকুট জয়ের পর সংবাদমাধ্যমকে নিজের অনুভূতির কথা ব্যক্ত করতে আসেন চেলসি বস থমাস তুখেল। তবে কোনো শব্দতেই এই সুখগাঁথা ব্যাখ্যা করতে পারলেন না এই জার্মান।

বিজ্ঞাপন

তুখেল বলেন, ‘সবার সঙ্গে শিরোপা জয়ের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পেরে অনেক আনন্দ হচ্ছে। আমরা করে দেখিয়েছি। চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের অনুভূতি সব বোধের ঊর্ধ্বে।’

টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে ওঠা সম্পর্কে তুখেল বলেন, ‘দ্বিতীয়বার ফাইনালে উঠতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছিল। তবে এবার আমার অন্যরকম লাগছিল। আমার মনে হচ্ছিল আমরা অনেক কাছে পৌঁছেছি। খেলোয়াড়রা শিরোপা জয়ের জন্য মুখিয়ে ছিল। আমরা সবাইকে সাহসী হতে বলেছিলাম। সবাইকে উজ্জীবিত করেছিলাম। প্রত্যেকটা ধাপে ধাপে আমরা আরও শক্তিশালী হয়েছি। আমরা সাহসিকতার সঙ্গে তাদের প্রতি-আক্রমণগুলো রুখে দিয়েছি।’

বিজ্ঞাপন

‘এটা দুর্দান্ত একটি ম্যাচ ছিল। আর এই ম্যাচটি শারীরিক শক্তি প্রদর্শনেরও ম্যাচ ছিল। তাই মাঠে একে অপরকে সাহায্য করাটা জরুরি ছিল। আর সেটাই আমরা করেছি। আর শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছি।’

এর আগে রাউন্ড অব ১৬’তে ডিয়েগো সিমিওনের অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে দুই লেগেই জয়। এরপর সেমিফাইনালে জিনেদিন জিদানের রিয়াল মাদ্রিদকে নাকানিচুবানিয়ে খেইয়েছে চেলসি। আর ফাইনালে তো পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে শিরোপা উল্লাসে মাতলেন।

তুখেলের আগে আরও দুই জার্মান কোচ এক বছর চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল হারের পরের বছর শিরোপা জিতেছেন। প্রথমবার ২০১১/১২ মৌসুমে ইয়াপ হেইঙ্কস বায়ার্ন মিউনিখকে ফাইনালে তুলে হেরেছিলেন চেলসির বিপক্ষে। পরের বছর বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে নিজের ৫ম চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা ঘরে তুলেছিল বাভারিয়ানরা।

বিজ্ঞাপন

হেইঙ্কসের পরে ২০১৭/১৮ মৌসুমে লিভারপুলকে ফাইনালে তুলেছিলেন ইয়্যুর্গেন ক্লপ। তবে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে সেবার শিরোপা খুইয়েছিল অল রেডসরা। পরের বছর অর্থাৎ ২০১৮/১৯ মৌসুমে টটেনহাম হটস্পার্সকে হারিয়ে ষষ্ঠবারের মতো ইউরোপ সেরার মুকুট এনে দিয়েছিলেন লিভারপুলকে।

এদিকে ২০১৯/২০ মৌসুমে পিএসজিকে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে তুলেছিলেন তুখেল তবে সেবার বায়ার্নের কাছে হাতছাড়া হয় শিরোপ। এরপর মধ্য মৌসুমে পিএসজি থেকে চাকরীচ্যুত হয়ে যোগ দেন চেলসিকে। আর মৌসুমে মাঝপথে দায়িত্ব নিয়েও দলকে তোলেন ফাইনালে। ২০২০/২১ মৌসুমের উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটিকে ১-০ গোলে হারায় তার দল চেলসি। আর তাতেই নিজেদের ইতিহাসের দ্বিতীয় চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জয় করে চেলসি।

সারাবাংলা/এসএস

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন