বিজ্ঞাপন

মুশফিকদের কাছে হারল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স

June 8, 2021 | 5:52 pm

স্পোর্টস ডেস্ক

সৌম্য সরকারের দুর্দান্ত অর্ধশতকে আবাহনীকে ১৫১ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। তবে চলতি ডিপিএলে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মুশফিকুর রহিম এবং মোসাদ্দেকের অর্ধশতকে ভর করে ১২ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে আবাহনী লিমিটেড।

বিজ্ঞাপন

১৫১ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২২ রানে নাইম শেখকে হারায় আবাহনী। ১০ রানে তিনি ফিরলেও মুনিম শাহরিয়ার রানের চাকা সচল রাখেন। অবশ্য এই ওপেনারকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে মাত্র ৫ রান করেই শান্ত ফেরেন দলীয় ৪৪ রানে, এরপর স্কোরবোর্ডে ৪ রান যোগ করে ফেরেন মুনেমও। আউট হওয়ার আগে তিনি করেন ৩৩ বলে ২৮ রান।

চতুর্থ উইকেটে মোসাদ্দেককে সঙ্গে নিয়ে ১০০ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান মুশফিকুর রহিম। ২৮ বলে ৫০ রান করেন মোসাদ্দেক আর ৩৫ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন মুশফিকুর রহিম। গাজী গ্রুপের হয়ে একটি করে উইকেট নেন নাসুম আহমেদ, মেহেদি হাসান এবং সঞ্জিত সাহা।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সৌম্য সরকার আর মেহেদি হাসান মিলে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে। উদ্বোধনী জুটিতে প্রথম ৯ ওভারে গাজী গ্রুপ পায় ৭৮ রানের সংগ্রহ। মেহেদি হাসান ৩২ বলে ৪৩ রান করে আউট হওয়ার পর মুমিনুলের সঙ্গে জুটি গড়েন সোম্য। তবে দলীয় ১০২ রান ব্যক্তিগত ১২ রানে মুমিনুল ফেরার পরেই ছন্দ পতন ঘটে গাজী গ্রুপের। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা।

বিজ্ঞাপন

৯ ওভারে যেখানে ৭৮ রান ছিল সেখানে মিডল অর্ডার এবং লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের সংগ্রহ দাঁড়ায় মাতে ১৫০ রানের। আবাহনীর হয়ে দুটি করে উইকেট নেন শহিদুল ইসলাম এবং আমিনুল ইসুলাম।

এদিকে ব্রাদার্স ইউনিয়ন পারটেক্স স্পোর্টিংকে ৩৩ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে। ব্রাদার্সের হয়ে অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স করেছেন রাহাতুল ফেরদৌস।

প্রথমে ব্যাট করে পারটেক্সের সামনে মাত্র ১৪৮ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় ব্রাদার্স। তবে এই লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমেই দলীয় ১৯ রানের মধ্যেই টপ অর্ডারের চার ব্যাটার হারায় পারটেক্স। এরপর দলের হাল ধরের অভিজ্ঞ ধীমান ঘোষ। তিনি ৩৭ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেছেন। এরপর নাজমুল হোসেন মিলনের ১০ ও রাজিবুল ইসলামের ১৪ রান ছাড়া আর কেউ দুই অঙ্কেই পৌঁছাতে পারেননি। ফলে পারটেক্সের ইনিংস গুটিয়ে যায় ১১৪ রানে।

বিজ্ঞাপন

রহাতুলের ৪ উইকেট ছাড়াও ২টি উইকেট নিয়েছেন সাকলাইন সজীব। আর একটি করে উইকেট পেয়েছেন হাবিবুর রহমান ও আলাউদ্দিন বাবু।

এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে ব্রাদার্স। তাদের টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানই ব্যর্থ হয়েছেন। মিডল অর্ডারে মাইশুকুর রহমানের ১৭ রানের পর রাহাতুল করেন ৪৪ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন। তাঁর ইনিংসটি ছিলো ২ ছক্কা ও ৩টি চারের। শেষদিকে নাঈম ইসলাম জুনিয়র ২১ বলে ৩৪ রান করে ব্রাদার্সকে মাঝারি পুঁজি এনে দেন। পারটেক্সের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন জয়নুল ইসলাম, তাসামুল হক ও শাহাদাত হোসেন। আর একটি উইকেট পেয়েছেন মেহরাব হোসেন।

দিনের অন্য ম্যাচে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে ৭ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করেছে প্রাইম ব্যাংক। ১৩৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলকে দারুণ শুরু এনে দেন প্রাইম ব্যাংকের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও রনি।

রনি তালুকদারের ৩৪ বলে ৪৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংসেই জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় প্রাইম ব্যাংকের। এছাড়াও দীর্ঘ দিন পর রানের দেখা পেয়েছেন আনামুল হক বিজয়। ৩৩ বলে ৩৫ রান করে প্রাইম ব্যাংকের জয়ে রেখেছেন বড় ভূমিকা। শেষ দিকে মোহাম্মদ মিঠুন ১৯ বলে ২১ রানের অপরাজিত ইনিংসে ৩ বল আর ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে প্রাইম ব্যাংক।

বিজ্ঞাপন

এর আগে টসে জিতে এদিন আগে ব্যাট করতে নামা শেখ জামালের শুরুটা একেবারে মন্দ হয় হয়নি। উদ্বোধনী জুটিতে ৩৪ রানে তুলেন দলটির দুই ওপেনার মোহাম্মদ আশরাফুল ও সৈকত। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ১২ বলে ১৬ রান করে আশরাফুল ফিরলে ভাঙে তাঁদের এই জুটি। এরপর কেউই তেমনই নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি। নিয়মিত বিরতিতেই হারিয়েছে উইকেট।

তাতেই শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩৩ রান তোলে শেখ জামাল। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন রুবেল ও মুস্তাফিজুর রহমান। একটি করে উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম, অলক কাপালি এবং নাইম হাসান।

সারাবাংলা/এসএস

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন