বিজ্ঞাপন

আনসার আল ইসলাম সংগঠক শামীমুর রিমান্ডে

June 16, 2021 | 6:55 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামে গ্রেফতার হওয়া নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সংগঠক মোহাম্মদ শামীমুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর আগে গ্রেফতার সিরিয়া ফেরত যোদ্ধা ও আনসার আল ইসলামের ‘আইটি বিশেষজ্ঞ’ সাখাওয়াত আলী লালুকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শামীমুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সাখাওয়াতের সহযোগী শামীমুর মূলত আনসার আল ইসলামের পক্ষে তরুণদের উদ্বুদ্ধ করতে শামীম হুজুর ‘মোটিভেশনাল স্পিকার’ হিসেবে কাজ করতেন বলে জানা গেছে।

বুধবার (১৬ জুন) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম হোসেন মো. রেজা এ আদেশ দিয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর ফিরোজ শাহ কলোনি এলাকায় নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ।

গ্রেফতার মোহাম্মদ শামীমুর রহমান প্রকাশ শামীম হুজুর (৪৩) নগরীর ফিরোজ শাহ কলোনি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব এবং স্থানীয় একটি কওমি মাদরাসার শিক্ষক। তার বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি উপজেলার মহেশপুর গ্রামে।

বিজ্ঞাপন

সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরহাদ হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘শামীমুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলাম। আদালত তিনদিন মঞ্জুর করেছেন।’

গ্রেফতার শামীম হেফাজতে ইসলামের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন বলেও তথ্য পেয়েছেন কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ।

সংশ্লিষ্টরা জানান, শামীম ২০ বছর ধরে ফিরোজ শাহ কলোনি এলাকার বড় মাদরাসা হিসেবে পরিচিত কওমি মাদরাসাটিতে শিক্ষকতা করে আসছিলেন। ২০১৩ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তার বাসায় আনসার আল ইসলামের সাংগঠনিক বৈঠক হত। এসব বৈঠকে থাকতেন সাখাওয়াতও। সিরিয়ায় জঙ্গি প্রশিক্ষণ ও যুদ্ধ শেষে দেশে ফেরার পর সাখাওয়াতের সঙ্গে আবারও শামীমের বৈঠক হয় বাসায়।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, গত শুক্রবার (১১ জুন) বিকেলে নগরীর দক্ষিণ খুলশীতে আহলে হাদিসপন্থীদের একটি মসজিদের সামনে থেকে সাখাওয়াত আলী লালুকে কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের কর্মকর্তারা গ্রেফতার করেন। ৪০ বছর বয়সী সাখাওয়াত নগরীর খুলশী থানার এম এম আলী রোডের বাসিন্দা শেখ মো. শমসের আলীর ছেলে। শমসের নগরীর লালখান বাজার এলাকার অভিজাত লন্ড্রি ‘ওয়াশো ড্রাই ক্লিনার্সের’ মালিক।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা জানান, লন্ডনের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সাইয়েন্সে উচ্চতর ডিগ্রি সম্পন্ন করা সাখাওয়াত মূলত ২০১২ সালের দিকে আনসার আল ইসলামের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। আনসার আল ইসলামের সামরিক কমান্ডার বরখাস্ত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়ার ভাবশিষ্য ছিলেন তিনি। ২০১৭ সালে তুরস্কে চলে যান সাখাওয়াত। কয়েকদিন তুরস্কে অবস্থানের পর অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে সিরিয়ায় চলে যান। সেখানে হায়াত তাহরীর আরশাম সংগঠনের মাধ্যমে ছয়মাসের সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নেন। এরপর সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে বিদ্রোহীদের পক্ষে যুদ্ধে অংশ নেন। ২০১৭ সালের ২২ মার্চ সাখাওয়াত বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।

গ্রেফতারের পর সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে নগরীর খুলশী থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের হয়। ওই মামলায় তাকে দুই দফায় ছয়দিনের রিমান্ডে পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন