বিজ্ঞাপন

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট চলছে ইরানে, রাইসির পাল্লা ভারি

June 18, 2021 | 1:28 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে হাসান রুহানির উত্তরসূরী খুঁজতে ভোট চলছে ইরানে। দেশটির শীর্ষ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনির ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিতি কট্টরপন্থি বিচারক ইব্রাহিম রাইসিকে এই নির্বাচনে সম্ভাব্য বিজয়ী হিসেবে মনে করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

আলজাজিরা ও বিবিসির খবরে বলা হয়, শুক্রবার (১৮ জুন) সকাল থেকে ইরানের নাগরিকরা নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে ভোট দিচ্ছেন। নির্বাচনে মোট ভোটার রয়েছেন ৬ কোটি। তবে দেশটির চলমান অর্থনৈতিক সংকট বিবেচনায় সরকারবিরোধিতার অংশ হিসেবে অনেকেই ভোটদান থেকে বিরত থাকতে পারেন বলে জানানো হয়েছে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে।

এই নির্বাচনে সাত জন প্রার্থী যোগ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। তবে তিন জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় এখন প্রার্থী রয়েছেন চার জন। তবে অভিযোগ রয়েছে, ইরানের শীর্ষ ধর্মীয় নেতার অধীনে পরিচালিত ১২ সদস্যের গার্ডিয়ান কাউন্সিল এই নির্বাচনের অনেক প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছেন। সংস্কারপন্থি ও রুহানির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত বেশ কয়েকজনের প্রার্থিতা বাতিলের অভিযোগও রয়েছে।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ৪ প্রার্থী

এই নির্বাচনে ‘ফেভারিট’ রাইসির প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছেন ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আবদোলনাসের হেম্মাতি, মহসিন রেজায়ি এবং আমির হোসেন গাজিজাদেহ হাশেমি। এর মধ্যে হেম্মাতি সংস্কারপন্থি হিসেবে পরিচিত।

বিজ্ঞাপন

হাসান রুহানি এর আগে দুই মেয়াদে ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ইরানের সংবিধান অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি প্রেসিডেন্ট থাকতে পারবেন না। এ কারণেই হাসান রুহানি এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না।

এদিকে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি নাগরিকদের ব্যাপক হারে ভোট দিতে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, শত্রুরা নির্বাচনে জনগণের উপস্থিতি কমিয়ে দিয়ে ইরানকে সন্ত্রাসবাদের লালনভূমিতে পরিণত করতে চায়। কিন্তু ইরানি জনগণ সে ষড়যন্ত্র সফল হতে দেবে না। ইরানের ভবিষ্যৎ শুক্রবারের নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের ওপর নির্ভর করছে। নিজেদের হাতে দেশের ভাগ্য গঠনের সুযোগ পাচ্ছে জনগণ। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে সর্বোচ্চ মাত্রায় ভোট দিতে হবে।

রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সম্পাদিত ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি টিকিয়ে রাখা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। বর্তমানে অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়েও যাচ্ছে ইরান। এ পরিস্থিতিতে কট্টরপন্থি রাইসি জয়ী হলে নতুন করে পশ্চিমা বিশ্বের অবরোধসহ নানা ধরনের চাপের মুখে পড়তে পারে ইরান। তাছাড়া এর মাধ্যমে ইরানে রুহানির মতো সংস্কারপন্থি ও বাস্তববাদী রাজনীতিকদের অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়বে।

বিজ্ঞাপন

তবে ইরানের সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, পরমাণু চুক্তি ফিরিয়ে আনা ও অর্থনৈতিক কঠোর অবরোধ প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার কোনো প্রভাব নির্বাচনে পড়বে না। কারণ দেশের অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার ওপরই ইরানের ভবিষ্যৎ রাজনীতির গতিপথ নির্ভর করবে।

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন