বিজ্ঞাপন

প্রসিকিউটর জেয়াদ-আল মালুম মারা গেছেন

June 27, 2021 | 11:27 am

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালের প্রসিকিউটর বীর মুক্তিযোদ্ধা জেয়াদ-আল মালুম মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২৬ জুন) দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আইন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ড. মো. রেজাউল করিম সারাবাংলাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ২৫ মে রাতে স্ট্রোক করে অসুস্থ হয়ে পড়ায় জেয়াদ-আল মালুমকে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং পরে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার ফুসফুসে সংক্রমণ ও মারাত্মক জটিলতা ধরা পড়ে। পরে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে গত ২৭ মে দুপুরে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয় এবং গত ২ জুন তাকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দিবাগত রাতে তিনি মারা যান।

অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদায় প্রসিকিউটর (প্রশাসন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়িত্বরত ছিলেন জেয়াদ আল মালুম। তিনি ১৯৮৩ সালের ১৩ অক্টোবর আইন পেশার সনদপ্রাপ্ত হয়ে একই বছরের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্যভুক্ত হন। এরপর ১৯৮৯ সালের ৩০ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইন পেশা পরিচালনার জন্য অনুমতি প্রাপ্ত হন এবং ১৯৯৯ সালের ১৫ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। পরে ২০১০ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হলে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদায় প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পান।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য জেয়াদ- আল মালুম জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযম ও মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে করা মামলার বিচারে রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ ভূমিকা রাখেন।

জেয়াদ আল মালুমের জন্ম টাঙ্গাইল জেলার সদর থানার করোটিয়া গ্রামে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। জেয়াদ আল মালুম ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সংশ্লিষ্ট শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুকালে তিনি এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রেখে গেছেন। তার স্ত্রী অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা একজন চিকিৎসক।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন