August 6, 2021 | 4:40 pm
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: মডেল ফারিয়া মাহবুবকে রাজধানীর গুলশান, ভাটারা ও খিলক্ষেত থানায় দায়ের করা মাদকের তিন মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মোট আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তিন মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন করে মোট ৩০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা।
শুক্রবার (৬ আগস্ট) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে পিয়াসার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত রোববার (১ আগস্ট) রাত পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা মহানগর ডিবি উত্তরের একটি দল বারিধারার বাসা থেকে আটক করে মডেল পিয়াসাকে। তার বাসা থেকে দেশি-বিদেশিমদ ও ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক জব্দ করা হয়। পরে গত ২ আগস্ট গুলশান থানার দায়ের করা মাদকের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলামের আদালত তার তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
ওই রিমান্ড শেষে আজ শুক্রবার বিকেলে পিয়াসাকে আদালতে হাজির করেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরে তাকে গুলশান থানার ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। একইসঙ্গে ভাটারা ও খিলক্ষেত থানার দুই মামলাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যও ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আদালত শুনানি নিয়ে গুলশান থানার মামলায় দুই দিন এবং ভাটারা ও খিলক্ষেত থানার মামলায় তিন দিন করে মোট আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদের সাবেক স্ত্রী। বছর চারেক আগে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের মামলায় সাফাতসহ তার বন্ধু-সহযোগীরা গ্রেফতার হলে ওই সময় আলোচনায় এসেছিলেন তিনি।
গত রোববার পিয়াসার বাসার পাশাপাশি মোহাম্মদপুর বাবর রোডে আরেক মডেল মরিয়ম আক্তারের বাসায় বাসাতেও অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ। তার বাসা থেকেও বিপুল পরিমাণ মদ জব্দ করা হয়। রাত সোয়া ১টার দিকে মডেল মৌকে আটক করা হয় বলে জানায় ডিবি।
মৌকে আটকের পর ডিবি জানায়, পিয়াসা ও মৌ মূলত একই সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। মডেলিংয়ের নামে তারা উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতেন। এরপর পার্টি করার নাম করে তাদের বাসায় ডেকে নিতেন। সেখানে মদ-ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক খাইয়ে ‘আপত্তিকর’ ছবি তুলতেন। পরে সেগুলো দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা বা নানা সুবিধা আদায় করতেন।
সারাবাংলা/এআই/টিআর