বিজ্ঞাপন

‘জাতীয় চিড়িয়াখানাকে আধুনিক ও বিশ্বমানের করা হবে’

August 16, 2021 | 9:12 pm

ম্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানাকে মাস্টারপ্ল্যানের মাধ্যমে আধুনিক ও বিশ্বমানে রূপান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। একইসঙ্গে চিড়িয়াখানার জন্য নতুন আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় গত ২৬ মে জন্ম নেওয়া দুটি বাঘ শাবকের নামকরণ, নিবন্ধন ও দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্তকরণ অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এসব কথা জানান।

এ বিষয়ে রেজাউল করিম বলেন, ‘সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডের আদলে জাতীয় চিড়িয়াখানাকে গড়ে তোলা হবে। এ লক্ষ্যে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের কাজ চলমান রয়েছে। এ কাজে সিঙ্গাপুরের কনসালটেন্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। চিড়িয়াখানায় প্রাণীদের সাফারি পার্কের মতো করে রাখা হবে। চিড়িয়াখানায় ভেতরে আলাদা আলাদা জোন তৈরি করে একই জাতীয় প্রাণী বা পাখিদের একই জোনে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। চিড়িয়াখানা পূর্বের তুলনায় সুসজ্জিত করা হয়েছে, অবকাঠামো উন্নয়ন করা হয়েছে, দর্শনার্থীদের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এভাবে চিড়িয়াখানাকে অপেক্ষাকৃত আধুনিক পর্যায়ে আমরা নিয়ে যাচ্ছি। মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের পর বাংলাদেশেই হবে আধুনিক চিড়িয়াখানা।’

তিনি আরও বলেন, ‘চিড়িয়াখানার জন্য আমরা আইন প্রণয়ন করছি। ইতোমধ্যে আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আইন ও বিধি-বিধানের আওতায় বাংলাদেশের চিড়িয়াখানা পরিচালিত হবে।’

বিজ্ঞাপন

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘জাতীয় চিড়িয়াখানা নতুন দুটি শাবকসহ এখন ১১টি বাঘ রয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য পশু-পাখিও পর্যাপ্ত রয়েছে। করোনাকালে নির্বিঘ্ন পরিবেশ পেয়ে পশু-পাখির প্রজনন বেড়েছে। অতিরিক্ত পশু-পাখি রংপুর চিড়িয়াখানাসহ অন্যান্য চিড়িয়াখানায় দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে জাতীয় চিড়িয়াখানা থেকে ৩৬ লাখ টাকার হরিণ বিক্রয় করা হয়েছে। প্রজনন বাড়ার কারণে চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরে অতিরিক্ত পাখির স্থান সংকুলান করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তাই আমরা প্রকৃতিতে কিছু পাখি ছেড়ে দিচ্ছি।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিনোদন ও পর্যটন কেন্দ্র খোলার ব্যাপারে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুসারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চিড়িয়াখানা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া সম্ভব হবে।

এরপর ফিতা কেটে বাঘ শাবক ‘দুর্জয়’ ও ‘অবন্তিকা’ সবার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করেন প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী। এ সময় চিড়িয়াখানা লেক প্রাঙ্গণে অতিরিক্ত ১৬টি বক প্রকৃতিতে ছেড়ে দেন। পরে চিড়িয়াখানা পরিদর্শন করে পশু-পাখির খাদ্য, পরিচর্যা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য খোঁজ খবর নেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুবোল বোস মনি, মো. তৌফিকুল আরিফ, যুগ্ম সচিব এস এম ফেরদৌস আলম, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. শেখ আজিজুর রহমান, পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা, জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক ডা. মো. আব্দুল লতীফসহ মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/জিএস/এনএস

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন