বিজ্ঞাপন

বঙ্গবন্ধু ও দেশের প্রশ্নে জাতীয় চার নেতা ছিলেন আপসহীন: শেখ পরশ

November 3, 2021 | 4:05 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু ও দেশের প্রশ্নে জাতীয় চার নেতা ছিলেন আপোষহীন বলে মন্তব্য করেছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তি এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৩ নভেম্বর) জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে শেখ ফজলে শামস পরশের নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ও বনানী কবরস্থানে জাতীয় চার নেতার কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। সকাল সাড়ে ৯টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে এবং সকাল সাড়ে ১০টায় বনানী কবরস্থানে জাতীয় চার নেতার কবরে যুবলীগের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বনানী কবরস্থান সম্মুখে জেলখানায় নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের শিকার জাতীয় চার নেতা এবং ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ নিহত সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এবং দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

জেলহত্যা দিবসে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ৩রা নভেম্বর আমাদের জাতির জীবনে আরেকটা কলঙ্কজনক এবং লজ্জাজনক অধ্যায়। এই দিন আমাদের জাতীয় চার নেতা- সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামান সাহেবকে জেলখানায় নিরস্ত্র এবং বন্দী অবস্থায় বিনা বিচারে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানানোর ভাষা খুঁজে পাওয়া দুস্কর; কারণ তারা একাধারে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন, তারা মুজিবনগর সরকারের পরিচালক এবং মন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং দেশপ্রেমের বিরল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। এমনকি ৩রা নভেম্বরেও যখন অন্যান্য অনেক আওয়ামী লীগের নেতারা আপোষ করেছিল; তখন কিন্তু এই জাতীয় চার নেতা বঙ্গবন্ধুর রক্তের সঙ্গে কোনোরকম আপোষ করে নাই।

তিনি বলেন, জাতীয় চার নেতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি, এই দেশের প্রতি ভালোবাসার এবং আনুগত্যের বিরল উদাহরণ রেখে গেছেন। এই কারণেই আমি মনে করি, আমাদের নতুন প্রজন্মের তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার রয়েছে। আমরা তাদের কাছে শিখতে পারি দেশপ্রেম, শিখতে পারি বঙ্গবন্ধুর প্রতি আনুগত্য, দেশের প্রতি আনুগত্য এবং কীভাবে নিজেকে আপোষহীন, ন্যায়-নীতির পক্ষে আপোাষহীন চরিত্র ধারণ করে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হয়। এটা চার জাতীয় নেতা আমাদেরকে উদাহরণ হিসেবে দেখিয়ে গেছেন এবং যুগ যুগ ধরে তারা আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবেন।

বিজ্ঞাপন

এসময় সময় উপস্থিত ছিলেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহীন, ডা. খালেদ শওকত আলী, মো. রফিকুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান পবন, মো. এনামুল হক খান, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, সুভাষ হাওলাদার, ইঞ্জি. মৃণাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, মো. বদিউল আলম, রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, সাইফুর রহমান সোহাগ, আবু মনির মো. শহিদুল হক রাসেল, মশিউর রহমান চপল, ড. এড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনুদ্দিন রানা, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দফতর সম্পাদক মোস্তাফিজ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শামসুল আলম অনিক, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মো. হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো. আব্দুল মুকিত চৌধুরী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মো. খলিলুর রহমান, উপ-প্রচার সম্পাদক আদিত্য নন্দী, উপ-দফতর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহাজাদা, উপ শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক কাজী খালিদ আল মাহমুদ টুকু, উপ তথ্য ও যোগাযোগ সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. ফিরোজ আল আমিন, উপ কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো. গোলাম কিবরিয়া শামীম, সহ সম্পাদক আবীর মাহমুদ ইমরান, তোফাজ্জল হোসেন তোফায়েল, মো. আতাউর রহমান উজ্জল, মির্জা মো. নাসিউল আলম শুভ্র, মো. মাইদুল ইসলাম, মো. আব্দুর রহমান জীবন, মো. আরিফুল ইসলাম, মো. আলমগীর হোসেন জয়, এহতেশামুল হাসান ভূইয়া রুমি প্রমুখ।

এছাড়া রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সভাপতি মো. রমজান আলী ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন বাচ্চু এবং রাজশাহী জেলা যুবলীগের সভাপতি মো. আবু সালেহ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলী আজম সেন্টুর নেতৃত্বে রাজশাহীর কুমারপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে শোকর‍্যালী করে নগরীর কাদিরগঞ্জের শহীদ এ. এইচ. এম কামারুজ্জামানের পারিবারিক গোরস্থানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও এক মিনিট নিরবতা পালন করেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএসএ

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন