বিজ্ঞাপন

মামলার তদন্ত ঠিকমত হয়নি: আদালতকে পরীমনি

December 1, 2021 | 1:07 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: চিত্রনায়িকা পরীমনিকে মারধর, হুমকি ও যৌন হয়রানির মামলাটি একতরফাভাবে তদন্ত হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। তিনি আদালতকে বলেন, আমার জানা মতে ঠিকমত তদন্ত করা হয়নি। এজন্য মামলাটি পুনরায় তদন্তের জন্য নাজারি পিটিশনের আবেদন করেছেন পরীমনি।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক মোহাম্মদ হেমায়েত উদ্দিনের আদালতে মামলাটি চার্জশিট গ্রহণ শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এজন্য সকাল ১০টার দিকে পরীমনি আদালতে উপস্থিত হন। নাসির উদ্দিন মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমিও আদালতে উপস্থিত হয়।

সকাল পৌনে ১১ টায় মামলার শুনানি শুরু হয়। শুরুতে আসামিপক্ষের আইনজীবী কাওছার হোসেন বলেন, মামলাটি চার্জশিট গ্রহণের জন্য আছে। আসামিরা আদালতে হাজির হয়েছেন। তার জামিনে আছেন। যেহেতু মামলাটি ট্রাইব্যুনালে এসেছে তাই আবার তাদের পূর্বশর্তে জামিন প্রার্থনা করছি। বাদীপক্ষ এ মামলায় নারাজি দাখিল করবেন বলে শুনছি। নারাজি দাখিল করলে আমরা এ বিষয়ে পরে আবার বলব।

এরপর পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত (সুরভী) আসামিদের জামিন বাতিলের আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, আসামিরা বাদী, সাক্ষীদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। তারা বাইরে থাকলে মামলার বিচারে বিঘ্ন ঘটবে। আসামিদের পলাতক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য তাদের জামিন বাতিলের আবেদন করছি।

বিজ্ঞাপন

নারাজি দাখিলের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, মামলার তদন্তে অনেক বিষয় সাক্ষীতে আনা হয়নি। গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের চার্জশিটে অর্ন্তভূক্ত করা হয়নি। তাই আমরা মামলাটি পুনরায় তদন্তের আবেদন করছি।

এরপর বিচারক নারাজির বিষয়ে পরীমনির জবানবন্দি গ্রহণ করেন। জবানবন্দিতে পরীমনি বলেন, এই মামলার ভিডিও ফুটেজ নাই। গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের চার্জশিটে রাখা হয়নি। দুই জন ম্যাজিস্ট্রেটকেও সাক্ষী থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যারা ভিডিওটি করেছে এবং ঘটনার সময় যারা ছিল তাদের সাক্ষী করা হয়নি। তারা কোথায়? মামলাট একতরফাভাবে তদন্ত হয়েছে।

এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শহিদ হোসেন ঢালী বলেন, মামলায় গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের সাক্ষীর তালিকায় রাখা হয়নি। মামলাটি পুনরায় তদন্তের প্রয়োজন। পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর এসপি পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে দিয়ে মামলাটি পুনরায় তদন্তের আবেদন প্রার্থনা করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, মিথ্যা মামলা, সাজানো মামলা, মিডিয়া ও থানাকে প্রভাবিত করে বাদী মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলাটি সঠিকভাবে তদন্ত হয়েছে। এখন আবার পুনরায় তদন্তের প্রয়োজন নেই। মামলাটিতে আসামিদের আত্মসমর্পণে করে জামিন চাচ্ছি। আসামি নাসির বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত আছে। আসামিরা স্থানীয় নাগরিক, পলাতক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই যেকোন শর্তে, পূর্বে শর্তে জামিনের আবেদনের প্রার্থনা করছি।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত দুই আসামিকে পূর্বশর্তে জামিনের আদেশ দেন। আর নারাজির বিষয়ে পরে আদেশ দিবেন বলেন বিচারক জানান।

গত ৬ সেপ্টেম্বর মামলায় নাসির, অমি এবং শহিদুল আলম নামে আরেক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকর্মকর্তা কামাল হোসেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এআই/এসএসএ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন