বিজ্ঞাপন

ফাইভজি’র যুগে বাংলাদেশ

December 12, 2021 | 8:54 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশে যাত্রা শুরু করেছে পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবা ফাইভজি। টেলিটকের গ্রাহকরা দেশের ছয়টি এলাকায় প্রাথমিকভাবে এই সেবা উপভোগ করতে পারবেন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ফাইভজি যুগে প্রবেশ করল।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১২ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর হোটেল র‌্যাডিসনে এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে যুক্ত হয়ে ফাইভজি সেবার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা জানিয়ে ভিডিওবার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব খলিলুর রহমান, বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার এবং টেলিলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাব উদ্দিন।

বিজ্ঞাপন

হুয়াওয়ের পক্ষে হুয়াওয়ের আঞ্চলিক প্রধান সিমন লিন এবং হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝাং ঝেংজুন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রাথমিকভাবে মোবাইল অপারেটর টেলিটক ফাইভজি চালু করেছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর, বাংলাদেশ সচিবালয়, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এবং ঢাকার বাইরে সাভার ও টুঙ্গিপাড়া— এই ছয়টি এলাকা আপাতত ফাইভজি কাভারেজের আওতায় আনা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে টেলিটক ঢাকা শহরের ২০০টি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এ প্রযুক্তি সেবা চালু করবে।

বিজ্ঞাপন

আগামী বছর মার্চে তরঙ্গ বরাদ্দের নিলামের পর বেসরকারি তিন মোবাইল অপারেটর ফাইভজি সেবা দেবে। ২০২২ সালের পর টেলিটক ও বিটিসিএলের মাধ্যমে দেশের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চল, বিশেষ করে স্পেশাল ইকোনোমিক জোনগুলোতে এই সেবা চালু করার প্রস্তুতির কাজ চলছে।

ভিডিওবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, টেলিটকের মাধ্যমে সীমিত পরিসরে ফাইভজি সেবা চালু হলেও দ্রুত এটি সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। ফোরজি নেটওয়ার্ক এখন সারাদেশে পাওয়া যায়। এর ফলে সব পেশার মানুষ দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে ডিজিটাল সেবা নিতে পারছে। উচ্চ গতির নেটওয়ার্কের ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। শহর থেকে গ্রামে ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করছে। এতে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন হচ্ছে। ফাইভজি চালুর জন্য শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যারা কাজ করেছেন, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আমরা বসে থাকতে চাই না। আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়া। আমরা থেমে থাকতে চাই না। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ কেমন হবে, তা নিয়ে আমরা চিন্তা করছি। আমরা আজ এমন একটি সময়ে ফাইভজি চালু করছি, যখন মাত্র উন্নত কয়েকটি দেশে ফাইভজি চালু হয়েছে। আমরা উন্নত দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছি। বাংলাদেশ এখন আর পিছিয়ে থাকছে না, বাংলাদেশ এখন থেকে আর পিছিয়ে থাকবে না।

বিজ্ঞাপন

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, আজকের দিনটি স্মরণীয়। আজকের অনুভূতি প্রকাশ করার ভাষা নেই। পৃথবীর অনেক দেশের আগেই আমর প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাব। প্রযুক্তিতে আমরা পিছিয়ে থাকব না।

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর

Tags: , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন