বিজ্ঞাপন

‘যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বাতিল করতে বলেন খালেদা’

January 21, 2022 | 5:46 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বাতিলসহ বাংলাদেশের ওপর পশ্চিমাবিশ্বের অবরোধ আরোপের অনুরোধ করেছিলেন।

বিজ্ঞাপন

২০১৩ সালের ৩০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন টাইমস পত্রিকায় খালেদা জিয়া ‘দ্য থ্যাংকসলেস রোল ইন সেভিং ডেমোক্রেসি ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে এক প্রবন্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের প্রতি এই অনুরোধ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ।

শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের ডাটাবেজ টিমের এক সভায় এ কথা বলেন তিনি।

ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, বিএনপি ও তার দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া দেশের সার্বভৌমত্ব ও অস্তিত্ব বিদেশিদের কাছে বিকিয়ে দিতে মোটেও কুণ্ঠিত নন। ওয়াশিংটন  টাইমসের প্রবন্ধে খালেদা জিয়া সেই কথা পরিষ্কারভাবে বলেছেন।

বিজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ওই প্রবন্ধে খালেদা জিয়া বলেছেন— ‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উদাসীন থাকলে তাকেও এর দায় দায়িত্ব বহন করতে হবে। কারণ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক আনুগত্য অন্যান্য উদীয়মান পরাশক্তির দিকে ধাবিত হচ্ছে।’ তিনি আরও লিখেছেন— ‘তার মানে এই নয় যে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য এজেন্সি কিছুই করছে না। ছয় মাস আগে বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো পদ্মাসেতু প্রকল্প থেকে প্রায় দুই বিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন প্রত্যাহার করেছে এবং এই প্রকল্পে দুর্নীতি ও অর্থ তছরুপের অভিযোগ তদন্ত করার পরামর্শ দিয়েছে।’

‘খালেদা জিয়ার এই মন্তব্যে বোঝা যায়, বাংলাদেশের পদ্মাসেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বাতিল হওয়ার বিষয়টি তার কাছে অত্যন্ত স্বস্তিদায়ক বিষয় ছিল,’— বলেন ড. সেলিম।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি সুবিধা বাতিলের পেছনে যে লবিস্টের মাধ্যমে বিএনপি ও তাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার প্রত্যক্ষ ষড়যন্ত্র ছিল, এটি খালেদা জিয়ার লেখাতেই পরিষ্কারভাবে উঠে এসেছে। খালেদা জিয়া লিখেছেন, ‘তাদের (যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের) অবশ্যই শেখ হাসিনাকে বোঝাতে হবে যে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বাতিল করা হবে যদি তার রাজনৈতিক মতাদর্শের বিরোধী ও শ্রমিক অধিকার নিয়ে সচেষ্ট ব্যক্তিদের মতামত প্রকাশের সুযোগ দেওয়া না হয়।

বিজ্ঞাপন

ড. সেলিম বলেন, খালেদা জিয়া তার লেখায় বাংলাদেশের ওপর বিভিন্ন পর্যায়ের নিষেধাজ্ঞা (স্যাংশন) আরোপের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদের অনুরোধ জানান। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার করা নিয়েও সমালোচনা করেন।

খালেদা জিয়ার প্রবন্ধ থেকে উদ্ধৃত করেন ড. সেলিম। সেখানে খালেদা জিয়া লিখেছেন, তাদের (যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের) এসব পদক্ষপকে হতে হবে অবশ্যই শক্তিশালী ও দৃশ্যমান, যেন আমাদের জনগণ তা দেখতে এবং শুনতে পারে। এর মাধ্যমেই সারাবিশ্বকে গণতান্ত্রয়নে যুক্তরাষ্ট্রের নিজের মিশন অব্যাহত রাখার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারবে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র ও সারাবিশ্বের কোনো কিছু করার এখনই উপযুক্ত সময়।

ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বাতিল হওয়ার পর অর্থাৎ প্রবন্ধটি প্রকাশিত হওয়ার ছয় মাস পর বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়— লেখাটি খালেদা জিয়ার নয়। তবে ওই নিবন্ধটি যে খালেদা জিয়ারই লেখা— এটি নিশ্চিত হয়েই ছাপানো হয় বলে বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলোকে জানান মার্কিন দৈনিকটির নির্বাহী সম্পাদক ডেভিড এস জ্যাকসন। মার্ক পার্সি নামে লন্ডনভিত্তিক একজন এজেন্টের মাধ্যমে ওয়াশিংটন টাইমস নিবন্ধটি পেয়েছিল বলে জানান তিনি।

ফাইল ছবি

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন