বিজ্ঞাপন

‘সুবর্ণজয়ন্তীতে জন্মশতবার্ষিকীকে প্রাধান্য দিয়েছে সরকার’

March 25, 2022 | 3:43 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মুক্তিযুদ্ধ নয়, ‘এক ব্যক্তি’র জন্মশতবার্ষিকীকে প্রাধান্য দিয়েছে সরকার।’’

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (২৫ মার্চ) গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এ অভিযোগ করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা (সরকার) কতগুলো অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধকে সামনে নিয়ে এসেছে। মুক্তিযুদ্ধে যারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ক‘বার তাদের নাম উচ্চারণ করা হয়েছে? এম এ জি ওসমানীর নাম, সেক্টার কমান্ডারদের নাম ক‘বার উচ্চারণ করা হয়েছে, তাজউদ্দিনের (তাজউদ্দিন আহমেদ) নাম ক‘বার উচ্চারণ করা হয়েছে- আপনারা নিজেরাই তো বুঝবেন। স্বাধীনতা যুদ্ধ কোথায় গেল? এখানে তো একজন ব্যক্তির ব্যাপারটা এসে যাচ্ছে সামনে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের একটা ক্যামেস্ট্রি আছে, যেটাকে বলা হয়, রসায়ন। রসায়নটা হচ্ছে কি যে, ফার্সীদের বলা হয় আনচু ডিজাবেস্ট মানে আমি ছাড়া আর কেউ নেই। এক মেগো অদ্বিতীয়া। এটাই সমস্যা তাদের।’

বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা চতুর্দিক থেকে জাতিগতভাবে খুব বিপজ্জনক অবস্থায় পড়ে আছি। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের যে লক্ষ্য ছিল একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করা সেটাই আজকে সবচেয়ে বিপদের সম্মুখীন হয়েছে। দেশে গণতন্ত্র নেই, মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। সারাবিশ্বে আমরা চিহ্নিত হয়েছি মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী একটা দেশ হিসেবে। দেশে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটা চরমভাবে.. এটাকে বলা হয় যে, বার্জিং মানে রাজনীতিকে নির্মূল করে দেওয়া, বিএনপিকে নির্মূল করে দেওয়ার চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করছে তারা (সরকার)।’

খালেদা জিয়াকে আবারও ‘প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘যে নেত্রী একজন গৃহবধূ ছিলেন। জিয়াউর রহমান সেদিন যখন সোয়াত জাহাজের দিকে এগুচ্ছিলেন তখন অষ্টম বেঙ্গল রেজিমেন্টের কমান্ডার সোহরাব হোসেন সেনাবাহিনীর সৈনিকদের নিরস্ত্র করবার চেষ্টা করছিল, সেই সময়ে কিন্তু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রথম বলেছিলেন, তোমরা অস্ত্র সমর্পন করবে না যতক্ষণ পর্যন্ত জিয়াউর রহমান ফিরে না আসেন। এই দিয়ে তার শুরু।’

‘আমি সবসময় বলার চেষ্টা করেছি আপনাদেরকে, দেশে প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা কেউ যদি থাকেন, তিনি হচ্ছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাকে (খালেদা জিয়া) আজকে মিথ্যা মামলায় বন্দি করে রাখা হয়েছে। ৪০ বছর ধরে যিনি গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করলেন তাকে আজকে এই সরকার আটক করে রেখেছে। অসুস্থবস্থায় তাকে চিকিৎসার সুযোগ দিচ্ছে না তারা’- বলেন মির্জা ফখরুল।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের নেতা তারেক রহমানও ওইসময় তার ছোট ভাইসহ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বন্দি ছিলেন। সুতরাং মুক্তিযুদ্ধে ওই ছোট মানুষটির অবদানও অস্বীকার করার উপায় নেই। এই নেতাকে আজকে দেশে ফিরতে দেওয়া হচ্ছে না।’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও সদস্য সচিব আবদুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এজেড/এএম

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন