বিজ্ঞাপন

খুবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ছাত্রী মেসে ভিডিও ধারণের অভিযোগ

April 5, 2022 | 9:37 pm

খুবি করেসপন্ডেন্ট

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থী শাইখ রহমান আবিরের বিরুদ্ধে গোপনে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীর আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শাইখ রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের সাবেক শিক্ষার্থী।

বিজ্ঞাপন

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত শনিবার (২ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ইসলাম নগরের শাহ শিরীন সড়কের একটি বাসার ভেন্টিলেটর থেকে ওই ছাত্রীর আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করেন শাইখ। মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে শনাক্ত ও আটক করেন। এরপর তাকে গণপিটুনি দেওয়া হয়।

শিক্ষার্থীরা জানান, শাইখকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে আটকে রাখেন তারা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের হস্তক্ষেপে তাকে হল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা অফিসে নেওয়া হয়। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে শাইখকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার তিনি গোসল করার সময় হঠাৎ ভেন্টিলেটরের দিকে তাকালে এক জন ব্যক্তির উপস্থিতি ও মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণের বিষয়টি টের পান। পরে এলাকাবাসী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেন।

বিজ্ঞাপন

ওই ফুটেজ থেকেই অভিযুক্ত শাইখকে শনাক্ত করা হয়। তার মোবাইল ফোনে এ ধরনের আরও অনেকের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও পাওয়া গেছে বলে তাকে আটক করা শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন। তারা বলছেন, আটক করার পর শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে শাইখ দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন। এসময় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাকে মারধর করেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, এ ঘটনায় আমি হরিণটানা থানায় একটি মামলা করেছি। আমি তার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই। আমি আশা করি, ন্যায় বিচার পেতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে পূর্ণ সহযোগিতা পাব।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক মো. শরীফ হাসান লিমন বলেন, অভিযুক্ত ওই শিক্ষার্থী সদ্য স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। এখনো মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তি হননি। আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নন। ফলে তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। তবে আমি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি। এবং মামলা করা হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে।

বিজ্ঞাপন

সবশেষ পাওয়া তথ্য বলছে, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও তার সহপাঠীরা বিকেলে খুলনার হরিণটানা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী শাইখ বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন