বিজ্ঞাপন

এজলাসেই বাদীকে বিয়ে, জামিন পেলেন ধর্ষণ মামলার আসামি

April 19, 2022 | 10:39 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ধর্ষণের অভিযোগে কারাবন্দি ছিলেন হাসানুজ্জামান। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে জামিন আবেদন করেও প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন আদালতে। পরে মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন করলে আদালত শর্ত দেন, জামিন পেতে হলে বাদীকে বিয়ে করতে হবে। শেষ পর্যন্ত এজলাসে বাদীকে বিয়ে করে অভিযুক্ত হাসানুজ্জামান জামিন পেয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোছা. বিলকিছ আক্তারের আদালতে উভয় পক্ষের আইনজীবী ও পুলিশের উপস্থিতিতে বাদীর সঙ্গে আসামির বিয়ে হয়। পরে আদালত আসামি হাসানুজ্জামানের জামিন মঞ্জুর করেন।

এদিন, জামিন না পাওয়া হাসানুজ্জামানকে বিয়ের জন্য প্রোডাকশন ওয়ারেন্টের মাধ্যমে আদালতে হাজির করা হয়। বিয়ে ও জামিন আবেদন মঞ্জুরের পর তাকে ফের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, জামিন মঞ্জুর হওয়ায় শিগগিরই তিনি কারামুক্ত হবেন।

এ ধর্ষণ মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান সারাবাংলাকে বলেন, আসামি সিএমএম আদালতে জামিন আবেদন করেছিলেন। কিন্তু জামিন পাননি। পরে তিনি মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন। আদালত মামলাটি ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠান। গত ১৭ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট আদালত ‘বিয়ের শর্তে আসামি জামিন পাবেন’ জানিয়ে ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানোর আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

ওই আদেশ অনুযায়ী মঙ্গলবার আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বাদীও। এসময় ১২ লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে পড়ানো হয়। বিয়ে পড়ানো হয়ে গেলে আদালত আসামিকে জামিন দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, হাসানুজ্জামান বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের প্রজেক্টে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বাদীর সঙ্গে তার পরিচয় ২০২০ সালে, ফেসবুকের মাধ্যমে। এরপর তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠলে আসামি বিয়ের প্রস্তাব দেন এবং তার সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় দেখা করতে চান। তারা বিভিন্ন জায়গায় দেখাও করেন। বিয়ে করবেন প্রতিশ্রুতি দিয়ে হাসানুজ্জামান গত ১৬ জানুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে একটি বাসায় বসবাসও করেন।

বাদীর অভিযোগ, ওই সময় আসামি তাকে ধর্ষণ করলেও বিয়ে করার কথা বললেই তিনি কালক্ষেপণ করতে থাকেন। আসামি বিভিন্ন সময় বাদীর  ভিকটিমের কাছ থেকে সাত লাখ টাকাও নেন। এক পর্যায়ে চাপ দিলে ২১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে আসামি জানিয়ে দেয়, তিনি বিয়ে করবেন না।

বিজ্ঞাপন

পরে গত ৬ মার্চ হাসানুজ্জামানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে বাদী আদাবর থানায় মামলা করেন। এরপর পুলিশ আসামিকে গ্রেফতার করে। এরপর থেকে আসামি কারাগারে রয়েছেন।

সারাবাংলা/এআই/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন