বিজ্ঞাপন

সড়কে খানাখন্দ, প্রতিবাদে কচু গাছ লাগালেন এলাকাবাসী

May 18, 2022 | 8:52 am

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

বগুড়া: দুভোর্গের অপর নাম হয়ে উঠেছে বগুড়ার চন্দনবাইশা সড়ক। খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তের কারণে চলাচলে অযোগ্য এই সড়কের কারণে জনগণের ভোগান্তি চলছে মাসের পর মাস ধরে। এই সড়কের বগুড়া সদর অংশের প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার রাস্তা মেরামতের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) থেকে দরপত্র ও ঠিকাদার নির্ধারণ করা হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলায় লোকজনের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। এর প্রতিবাদে সড়কের গর্তে গর্তে ধান ও কচু গাচ লাগিয়ে দিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী।

বিজ্ঞাপন

চন্দনবাইশা সড়কটি গোলাবাড়ি সড়ক হিসেবেও পরিচিত। শহরের কৈপাড়া এলাকা থেকে এই সড়কের প্রায় আড়াই কিলোমিটার বগুড়া পৌরসভার আওতায়। পৌরসভার এই অংশও চলাচল অযোগ্য ও খানাখন্দে ভরা। বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই ইতোমধ্যে কাদাপানিতে গোটা রাস্তা একাকার। গর্তে পড়ে দুর্ঘটনাও ঘটছে। গর্ভবতী এবং অসুস্থদের জন্য এই সড়ক যেন এক আতঙ্ক।

পৌরসভার বাইরের অংশে বগুড়া সদর উপজেলার মধ্যে এই সড়কের প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার সড়ক মেরামত কাজের টেন্ডার হয় চলতি বছর। এলজিইডি বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গোলাম মোর্শেদ জানান, টেন্ডারের কাজ পান মেসার্স শুকরা এন্টারপ্রাইজের আব্দুল মান্নান আকন্দ। কাজের তদারককারী উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুবুল হক জানান, এই কাজের কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল জানুয়ারি মাসে। মে মাসের মধ্যে কাজটি শেষ হওয়ার কথা  থাকলেও এখনো তা হয়নি।

বিজ্ঞাপন

বগুড়া দ্বিতীয় বাইপাস সড়ক পার হয়েই এলজিইডির অধীনে চন্দনবাইশা সড়কের অংশ শুরু। এটিকে তরুণী হাট সড়ক হিসাবেও উল্লেখ করা হয়। সড়কের সাবগ্রাম দক্ষিণপাড়া চিড়ার মিল এলাকার মুদি দোকানি রাজু তার দোকানের সামনে পানি জমে যাওয়া ডোবা সাইজের গর্ত দেখিয়ে বলেন, মাসের পর মাস ধরে এই অবস্থা। এখন পানি জমে যাওয়ায় পথচারী ও যানবাহন গর্ত বুঝতে না পেরে উল্টে পড়েন। ২ দিন আগের মটরসাইকেল আরোহী এক দম্পতি গর্তে পড়ে আহত হন।

স্থানীয় ব্যবসায়ী জাকির হোসেন জানান, ঠিকাদার ফেব্রয়ারি মাসের দিকে ১০-১৫ দিন কাজ করেছিলেন। ঠিকাদারের লোকজন শুধু রাস্তার পাশে ইট গেঁথেছিলেন। মেরামাত কাজ শুরু না করেই কাজ ফেলে চলে যান। এরপর থেকে একই অবস্থায় পরে লোকজনকে শুধু দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বৃষ্টি হওয়ার পর থেকে দুর্ভোগ ভোগান্তি বেড়েছে।

সেখানকার বাসিন্দা ইলেকট্রিক মিস্ত্রি আশরাফুল জানালেন, কাজ ফেলে চলে যাওয়ায় বৃষ্টিতে রাস্তার গর্ত আরও বেড়েছে। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এর প্রতিবাদ হিসাবে তারা কয়েক দিন আগে গর্তে কচু ও ধান গাছ রোপন করেছেন।

বিজ্ঞাপন

সিএনজি অটোরিকশা চালক তাজুল ইসলাম জানান, সড়কের বর্তমান অবস্থায় যানবাহন চলাচল কমে গেছে। তিনি তার অটোরিকশায় গর্ভবতী নারী ও গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিকে নিয়ে এই সড়ক দিয়ে যান না।

বগুড়া এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, এই সড়কের বগুড়া পৌরসভা অংশের আড়াই কিলোমিটার পৌর কর্তৃপক্ষের বিশেষ অনুরোধে প্রকল্পভুক্ত করে অনুমোদনের জন্য ঢাকায় পাঠান হয়েছে। সদর অংশের টেন্ডার হওয়া প্রায় ৩ হাজার ৬শ মিটার রাস্তার কাজ নিযুক্ত ঠিকাদারের মাধ্যমেই জুনের মাধ্যমে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কেন নির্ধারতি সময়ে ঠিকাদার কাজ শেষ করতে পারছেন না, এমন প্রশ্নের বিষয়ে তিনি বলেন. শেষ করার চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে ২টি নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএসএ

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন