বিজ্ঞাপন

রংপুর মেডিকেলে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী, নজর নেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের

November 2, 2022 | 4:09 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

রংপুর: রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আক্রান্তদের মধ্যে সকলেই ঢাকা ফেরত। হাসপাতালে প্রতিদিন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়লেও রোগীদের জন্য করা হয়নি আলাদা ওয়ার্ড।

বিজ্ঞাপন

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে নতুন করে রোগী ভর্তি হয়েছে পাঁচজন। আর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন মোট ৯ রোগী। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে ফিরেছেন দুইজন রোগী।

বুধবার সকালে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার মেডিসিন ওয়ার্ডের একটি কর্নারে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের। সেখানে দেখা যায় বাথরুমের পাশে এক কোনে ৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা। হাতে গোনা চারজন বেড পেলেও বাকীরা হাসপাতালের মেঝেতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ডেঙ্গু রোগী ও তাদের স্বজনরা বলছেন, চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলেও রোগীদের জন্য নেই পর্যাপ্ত বেড ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ। দেওয়া হয়নি প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও মশারি তাই বাধ্য হয়ে এসব কিনে চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা। আর স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে ডেঙ্গু রোগীদের অবস্থানের কারণে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনরা ভোগান্তিতে পড়েছে। তাই দ্রুতই ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করার দাবি স্বজনদের।

বিজ্ঞাপন

ঢাকার হেমায়েতপুরে গার্মেন্টস কর্মী সুজন ভর্তি আছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে। শুয়ে আছে বাথরুমের পাশে এক কোনে মেঝেতে। তিনি গত শরীর জ্বর ও ব্যাথা থাকায় পরশুদিন ঢাকায় বিভিন্ন পরীক্ষা করান। এরপর তার রিপোর্টে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। এরপর তিনি ঢাকায় চিকিৎসা নিয়ে চলে আসেন রংপুরে। রংপুর মেডিকেলে ভর্তির পর দেখেন সুচিকিৎসা পাওয়া যাচ্ছে না। সেখানে তবুও বাধ্য হয়ে ভর্তি হয়েছেন।

তিনি বলেন, হাসপাতালের বেড পাওয়া যায়নি, নূন্যতম মশারিটাও দেওয়া হয়নি হাসপাতাল থেকে। বাইরে থেকে মাদুর (পাটি), বালিশ কিনে চিকিৎসা নিচ্ছি। বাথরুমের দুর্গন্ধে এখানে থাকা অনেক কষ্টের। এখানে চিকিৎসা নিতে এসে মনে হচ্ছে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছি।

ঢাকায় জুতার ফ্যাক্টরিতে কাজ করা সিরাজ হোসেন গতকাল রাতে ভর্তি হয়েছেন রংপুর মেডিকেলে। তিনি বলেন, এখানে এসে কোনো সুবিধা পাচ্ছি না শুধু শুধু কষ্ট। এত মানুষের ভিড়ে চিকিৎসা পাওয়া দুষ্প্রাপ্য। বিছানা না পেয়ে মেঝেতে শুয়ে আছি। পাশেই ময়লার স্তুপ, বিভিন্ন অব্যবহৃত যন্ত্রপাতির পাহাড় এগুলো থেকে বেশি মশা আসছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানায় ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য আলাদাভাবে ওয়ার্ড যেন বানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধান কিংবা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। হাসপাতালের পরিচালক ডা. শরিফুল হাসানের বক্তব্য নিতে তার কক্ষে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘন্টাখানেক পরে আসবেন বলে প্রতিবেদকে জানান। তবে দীর্ঘ চারঘন্টা অপেক্ষায় থাকলেও তিনি হাসপাতাল আসেনি। একাধিকবার মোবাইলে ফোন করা হলেও তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।

সারাবাংলা/ইআ

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন