বিজ্ঞাপন

প্রেস রিলিজ ‘এডিট’ করে ইবি ছাত্রলীগে নতুন সহ-সভাপতি!

November 28, 2022 | 5:51 pm

ইবি করেসপন্ডেন্ট

ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ছাত্রলীগের ২৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয় গত ৩১ জুলাই। প্রেস রিলিজের মাধ্যমে দেওয়া এই কমিটিতে সই করেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। এ কমিটি ঘোষণার চার মাস পর একই প্রেস রিলিজ এডিট করে নতুন একটি সহ-সভাপতি পদ সংযুক্ত করা হয়েছে। নতুন ওই সহ-সভাপতি হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের রেহেনা আক্তার ঝুমা।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টা ৪৪মিনিটে ঝুমা নিজেই তার নাম সংযুক্ত প্রেস রিলিজটি ফেসবুকে শেয়ার করেন। এর পর বিষয়টি জানাজানি হলে নানা আলোচনা-সমালোচনা ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ফেসবুক পোস্টে ঝুমা লিখেন, ‘আমাকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত করায় সংগ্রামী সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ভাই ও সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য দাদার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’

ঝুমার সহ-সভাপতি হিসেবে পদায়নের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয় সমাজসেবা সম্পাদক ও ইবি শাখার তত্ত্বাবধায়ক শেখ স্বাধীন মো. শাহেদ। শাহেদ বলেন, ‘বিজ্ঞপ্তিটি অবৈধ নয়। যখন আমরা সিভি সংগ্রহ করি তখন ওই মেয়েটাও (ঝুমা) সিভি দিয়েছিল। কিন্তু কমিটি থেকে বাদ পড়ে যায়। সেই মেয়েটাকে আগের প্রেস রিলিট এডিট করে পদায়ন করা হয়েছে।’

তবে এ বিষয়ে কেন্দ্র থেকে কোনো নির্দেশনা বা তথ্য আসেনি বলে জানান ইবি ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। কেন্দ্র থেকে আমাকে কিছু জানানো হয়নি।’

বিজ্ঞাপন

এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং দফতর সম্পাদক ইন্দ্রনীল দেব শর্মার সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিক বার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে প্রেস রিলিজ এডিট করে নতুন সহ-সভাপতি পদায়ন নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন একাধিক পদধারী ও পদবঞ্চিত নেতাকর্মী। সেইসঙ্গে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তারা।

ইবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তন্ময় শাহা টনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি-সম্পাদক ছাড়া কমিটিতে নাম সংযোজনের সুযোগ কারও নেই। তাদের কনসার্ন ছাড়া এটি করে থাকলে স্পষ্ট অপরাধ। এটি গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কতটুকু যৌক্তিক সেই প্রশ্ন থেকেই যায়।’

এভাবে নতুন করে নাম আসার বিষয়টি পদবঞ্চিতরা ভালোভাবে নিচ্ছেন না। রাতের আঁধারে হাতে-পায়ে ধরে কেউ পদ পেয়ে যাবে, আবার কেউ পদবঞ্চিত হয়ে ক্যাম্পাস ছেড়ে যাবে বিষয়টি কাম্য নয় বলে জানান একাধিক নেতাকর্মী।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/পিটিএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন