মানুষের পাশে চিরদিন আছি, চিরদিন থাকব: প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের নতুন কমিটির সদস্যরা সবাই আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ; বাংলার মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে যা যা করণীয় আমাদের সরকার করে যাবে। তাদের পাশে আমরা চিরদিন থাকব, চিরদিন আছি। মানুষের সেবা করাটাই আমাদের লক্ষ্য।

শনিবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম যৌথসভায় সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সভার কার্যক্রম শুরুর আগে শোক প্রস্তাবও গৃহীত হয়। সভা পরিচালনা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যতদিন সরকারে আছে মানুষের কষ্ট দূর করার জন্য যা যা করণীয় তা করে যাবে। আমরা সেটি করে যাচ্ছি। আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, আর্থ-সামাজিক উন্নতি এনে দিয়েছে। মাত্র ১৪ বছরে বাংলাদেশ আজকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ একটি মর্যাদা পেয়েছে।’

তৃতীয় মেয়াদে সরকারপ্রধানের দায়িত্বে থাকা শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় জনগণের পাশে আছে। আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ; বাংলার মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে যা যা করণীয় আমরা করে যাব। তাদের পাশে আমরা চিরদিন থাকব, চিরদিন আছি এবং মানুষের সেবা করাটাই আমাদের লক্ষ্য।’

উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার পাশাপাশি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আজকে সমগ্র বাংলাদেশে ব্রডব্যান্ড পৌঁছে গেছে। অনলাইনে সবাই কাজ করতে পারেন। সবার হাতে হাতে মোবাইল ফোন। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার মানুষ রপ্ত করেছে। আমরা আরও ট্রেনিং দিচ্ছি। শিক্ষায়, দীক্ষায়, স্বাস্থ্য সেবায়, রাষ্ট্র পরিচালনায় এবং সব জনগোষ্ঠী হবে স্মার্ট জনগোষ্ঠী। সেই স্মার্ট বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব।’

এদিকে দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত কমিটির শ্রদ্ধা নিবেদন করে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতার সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কেন্দ্রীয় নেতারা। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা শেষে মোনাজাতে অংশ নেন।

এছাড়া টুঙ্গিপাড়ায় উপস্থিত থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গোপালগঞ্জের ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং একটি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটি নিয়ে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসে যৌথসভায় বসেন আওয়ামী লীগ নেতারা। যৌথসভা শেষে বিকেলে সড়ক পথে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন নেতারা।

শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় দুদিনের সফরে গোপালগঞ্জে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল ৮টায় সড়কপথে তিনি ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা দেন। ২২তম সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো টুঙ্গিপাড়া সফর করেন প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি।

শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) শেখ হাসিনা জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে খুলনায় তার পারিবারিক সম্পত্তি দেখতে যান। এরপর তিনি আবার গোপালগঞ্জে ফিরে আসেন। এদিন সকাল দিকে শুক্রবার গণভবন থেকে সকাল ৮টায় গণভবন থেকে সড়কপথে টুঙ্গিপড়ায় পৌঁছান আওয়ামী লীগ সভাপতি। টু্ঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতার সমাধিসৌধে ছোট বোন শেখ রেহানা নিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

সারাবাংলা/এনআর/একে