বিজ্ঞাপন

এমন বর্বর শাসক কখনও দেখিনি: ফখরুল

March 19, 2023 | 4:40 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে কিন্তু তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। এভাবে চলতে থাকলে তা হবে জাতির জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এমন অসভ্য বর্বর শাসক আমরা কখনও দেখিনি। এরা প্রতারক ও ভণ্ড।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৯ মার্চ) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিকল্প নেই’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা আয়োজন করে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দেশে ভয় ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। মানুষ এখন সত্য কথা লেখেও না, বলেও না। যারা প্রতিবাদী তারাও আর সত্য কথা বলে না। তারা আওয়ামী লীগের অন্যায়ের প্রতিবাদও করেন না। বর্তমানে দেশে এতগুলো টিভি চ্যানেল ও পত্রিকা। কই তারা তো ভিন্ন মতের খবর দেখাতে ও বলতে পারে না।’

বিজ্ঞাপন

‘বিশ্বের অধিকাংশ দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নেই। তাহলে বাংলাদেশে কেনো?’— ক্ষমতাসীন দলের নেতা নেত্রীদের এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবিতে জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করেছিল আওয়ামী লীগ। তারা সে সময় বলেছিল যে, বাংলাদেশে যে দল তারাই ক্ষমতায় থাকার জন্য ম্যানিপুলেশন করে। এমনকি আওয়ামী লীগ ওই দাবিতে দেশে তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়েছিল। বাসের মধ্যে গানপাউডার দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারল। এক পর্যায়ে খালেদা জিয়া দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য ছিল গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। দলমত নির্বিশেষে সকলের একটা মত ছিল যে, বাংলাদেশ হবে গণতান্ত্রিক। জনগণের ভোটে নির্বাচিত একটি সংসদের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা হওয়ার কথা। কিন্তু আওয়ামী লীগ নিজেরাই ১৯৭৫ সালে সেই পদ্ধতি নষ্ট করে ফেলেছে। কারণ, আওয়ামী লীগ সব সময় সামন্ততন্ত্রে থাকতে চায়। তাদের মধ্যে জমিদারী ভাব সব সময় থাকে। তারা ভিন্নমতকে সহ্য করতে পারে না।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে ভয় পেলে চলবে না। আবারও আমাদেরকে জেগে উঠে গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে। যাতে আমরা জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারি। আওয়ামী লীগ নির্বাচন নিয়ে আবারও পুরনো ফাঁদ পেতেছে। তারা দেখাচ্ছে যে সভা সমাবেশ করতে দিচ্ছে। আসলে এগুলো হচ্ছে তাদের শয়তানি। তারা দেশের মানুষকে বোকা ভাবছে। কিন্তু দেশের মানুষ তাদের ফাঁদে পা দেবে না।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে প্রথমে আদালতকে ব্যবহার করে সেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়েছে। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা। এ জন্য যিনি রায় দিয়েছেন সেই বিচারক খায়রুল হককে একদিন জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। তিনি বাংলাদেশের ভীষণ ক্ষতি করেছেন।’

সভাপতির বক্তব্যে জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান বলেন, গণতান্ত্রিক রীতিনীতিকে পিষ্ট করে ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ চালাচ্ছে। তবে দেশের মানুষ তাদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। ইনশাআল্লাহ সম্মিলিতভাবে দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে এই ভোট ডাকাত আওয়ামী লীগ সরকারের পতন নিশ্চিত করেই আমরা ঘরে ফিরবো।

জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এসএম শাহাদাত হোসেনের পরিচালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন বেপারী, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, ডিএল‘র সাইফুদ্দিন মনি, বাংলাদেশ ন্যাপের এমএম শাওন সাদেকী, জাগপার প্রেসিডিয়াম সদস্য রকিব চৌধুরী মুন্না, প্রিন্সিপাল হুমায়ন রশিদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য আ স ম মিসবাহ উদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. আওলাদ হোসেন শিল্পী প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/ইআ

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন