বিজ্ঞাপন

সুষ্ঠু নির্বাচন চায় রংপুরবাসী

December 18, 2017 | 8:57 pm

হাসান আজাদ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

রংপুর থেকে: রংপুর শহরে প্রবেশ পথ মর্ডান মোড়। সড়ক পথে ঢাকা থেকে আসা সব পরিবহন এই মোড় হয়ে শহরে প্রবেশ করে। মর্ডান মোড়ে চব্বিশ ঘণ্টাই লোক-জনের আনা-গোনা। এখানে বাস-ট্রাকের স্ট্যান্ড হওয়ার কারণে সব সময় দোকান-পাট, হোটেল খোলা থাকে। সোহানা হোটেল সেগুলোরই একটি।

সকাল সাড়ে দশটার দিকে সোহানা হোটেলে বসে কথা হয় বাকের মিয়ার সঙ্গে।  তার বাড়ি শহরের ধাপ এলাকায়। পেশায় তিনি ল্যান্ড সার্ভেয়ার। বে-সরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। তার সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেল, তিনি  রাজনীতি সচেতন। রংপুরের সিটি নির্বাচন সম্পর্কে জানতে চাইলে বাকের মিয়া বলেন, যিনিই মেয়র হোন না কেন, নির্বাচন যেন সুষ্ঠু হয়। তিনি বলেন, নির্বাচনে লড়াই হবে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মধ্যে। তার মতো একই চাওয়া জুম্মাপাড়ার বাসিন্দা আফজাল হোসেন, নজরুল ইসলাম ও মেডিকেল মোড়ের বিমল সাহার।

এদিকে, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শেষ হওয়ার আর মাত্র একদিন বাকি থাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের অংশগ্রহণে তা আরো উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে। প্রচারণায় অংশ নিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রংপুর এসেছেন। তাই শেষ মুহূর্তে বেশ জোরেসোরে প্রচারণা চালাচ্ছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। সোমবার সকাল থেকে গণসংযোগে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা। উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইছেন। নির্বাচনে হেভিওয়েট তিন দলের পক্ষেই মাঠে রয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

বিজ্ঞাপন

আগামী ২১ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে প্রার্থীদের প্রচারণা। শেষ মুহূর্তের প্রচারণা মিছিল মিটিংয়ে বেশ জমে উঠেছে। শহরের সব স্থানেই শোভা পাচ্ছে প্রার্থীদের পোস্টার। ভোর থেকে গভীর রাতপর্যন্ত প্রার্থীরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন।

এই নির্বাচন সরকারের অন্যতম শরীক  জাতীয় পার্টির কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। একে তো পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের নিজের এলাকা। তার ওপর সেখানে এরশাদের তুমুল জনপ্রিয়তা নির্বাচনকে দিয়েছে ভিন্নমাত্রা। এর ওপরে ভর করে এরশাদের মনোনীত লাঙলের প্রার্থী রাত-দিন ছুটছেন ভোটারদের কাছে। দলটির একাধিক নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো অন্তরায় মেনে নেবে না রংপুরের মানুষ।

রংপুরকে বলা হয় জাতীয় পার্টির পুণ্যভূমি। জাতীয় পার্টির চরম দুর্দিনে এই রংপুরের মানুষ কারাবন্দী এরশাদকে দুই দুই বার পাঁচটি করে আসনে নির্বাচিত করেছেন। সেই ভালবাসার রেকর্ড এখনো ভাঙতে পারেননি কেউ। তাই প্রতিটি নির্বাচনেই লাঙ্গল প্রতীক এখানে গুরুত্বপূর্ণ। দিন নেই রাত নেই, বিরামহীন ছুটছেন লাঙ্গলের প্রার্থী।

বিজ্ঞাপন

মেয়র প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির মহানগরের সভাপতি মোস্তফিজার রহমান মোস্তফা জেতার ব্যাপারে প্রচণ্ড আশাবাদী। সারাবাংলাকে তিনি  বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে রুখে দাঁড়াবে রংপুরের ভোটাররা। জাতীয় পার্টির নেতারা মনে করেন, রংপুরে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে সেই ফলাফল আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী সরফুদ্দিন আহম্মেদ ঝন্টু সারাবাংলাকে বলেন, আমি রংপুরের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। ইতিমধ্যে আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব হয়েছে কাজ করেছি। তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

সারাবাংলা/এইচএ/এজেড

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন