বিজ্ঞাপন

সীমান্তে গুলিবিদ্ধ ইউপি সদস্য, আশ্রয় নিল আরও ১৭৯ বিজিপি

March 12, 2024 | 12:22 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

কক্সবাজার: মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাতের জেরে এক দিনে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) আরও ১৭৯ সদস্য। এছাড়া সীমান্তের ওপার থেকে ছোঁড়া গুলিতে এক ইউপি সদস্য আহত হয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিজিবি সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এক বার্তায় জানান, প্রথমে সোমবার (১১ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্ত দিয়ে বিজিপি’র ২৯ জন সদস্য পালিয়ে আসেন। পরে রাত পর্যন্ত পালিয়ে এসেছেন আরও ১৫০ জন। এতে একদিনে মোট ১৭৯ জন পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছেন।

বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের (১১ বিজিবি) অধীন জামছড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দিয়ে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অংথাপায়া ক্যাম্প থেকে ১৭৯ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আগ্রয় গ্রহণ করেছে।

বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন রাতে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, অনুপ্রবেশকারী সবার অস্ত্র জমাদানের পর বিজিবি তাদের হেফাজতে নিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় সীমান্তের ওপার থেকে আসা গুলিতে এক ইউপি সদস্য আহত হয়েছেন। আহত ইউপি সদস্যের নাম সাবের আহমদ। তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন বলেন, ‘সোমবার বিকাল ৪টার দিকে সীমান্ত এলাকা জামছড়ি মসজিদের পাশে স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করছিলেন সাবের আহমদ। এ সময় সীমান্তের ওপার থেকে আসা একটা গুলি তার কোমড়ে এসে লাগে। তাৎক্ষণিকভাবে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, জামছড়ি সীমান্তে বিজিপি সদস্যরা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। তাদের বিজিবি হেফাজতে নিয়েছে। কিন্তু সীমান্তের বাসিন্দারা যাতে ভয় না পায় তার জন্য তাদের সতর্ক অবস্থায় চলাফেরা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জামছড়ি সীমান্তের বাসিন্দাদের দাবি, মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে না পেরে বিজিপি সদস্যরা পালিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে লেবু বাগানে ঢুকে পড়ে। পরে স্থানীয়রা বিজিপি সদস্যদের দেখতে পেয়ে বিজিবিকে খবর দেয়। পরে বিজিবির কাছে আত্মসমর্পণ করে বিজিপি সদস্যরা।

এর আগে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাতের জেরে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সেনা সহ ৩৩০ জনকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত পাঠানো হয়।

গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তের ওপারে আরাকান আর্মির সঙ্গে বিজিপির সংঘর্ষ শুরু হয়। এর জের ধরে ৪ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন বিজিপিসহ ৩৩০ জন। যাদের মধ্যে ৩০২ জন বিজিপি সদস্য, ৪ জন বিজিপি পরিবারের সদস্য, ২ জন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য ও চারজন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন। এবার নতুনভাবে আসল ১৭৯ জন বিজিপি।

এ অবস্তায় সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি। টহল জোরদারের পাশাপাশি সীমান্তে কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ওএফএইচ/এনএস

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন