বিজ্ঞাপন

আর্জেন্টিনার ‘ইসরায়েল’ ম্যাচ বাতিল

June 6, 2018 | 12:46 pm

সারাবাংলা ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

আর্জেন্টিনা-ইসরায়েল প্রীতি ম্যাচ নিয়ে সমালোচনা ঝড় উঠেছিল। বিশ্বকাপের আগে মেসি অ্যান্ড কোংয়ের সেটিই ছিল শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ। কিন্তু, ইসরায়েলের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ আয়োজন নিয়ে চারদিকে দুয়োধ্বনি শুনতে হচ্ছিল আর্জেন্টিনাকে। অবশেষে ইসরায়েলের বিপক্ষে ম্যাচটি বাতিল করে দিয়েছে মেসি-আগুয়েরো-ডি মারিয়ারা।

আগামী ৯ জুন জেরুজালেমে লিওনেল মেসিদের ম্যাচটি খেলার কথা ছিল। আর্জেন্টিনায় ইসরায়েলি দূতাবাস এক বিবৃতিতে সেটি বাতিলের কথা নিশ্চিত করে।

রাজনৈতিক ইস্যুর জের ধরে ইসরায়েলের বিপক্ষে বিশ্বকাপের পূর্বে প্রীতি ম্যাচ বাতিল করে আর্জেন্টিনা ফুটবল দল। এর ঠিক পরেই এএফইকে দেওয়া এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ফিলিস্তিন ফুটবল ফেডারেশনের আন্তর্জাতিক বিভাগের পরিচারল সুসান শালাবি জানান, ‘রাজনৈতিক অস্থিরতার ভেতর ইসরায়েলে খেলতে না যাওয়ার জন্য আর্জেন্টিনা দলকে অনেক ধন্যবাদ। খেলার সঙ্গে কিছুটা হলেও রাজনীতি মেশানো। এটি একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে বিশ্বের কাছে।’

বিজ্ঞাপন

বর্তমানে স্পেনের বার্সেলোনাতে অনুশীলন করছে আর্জেন্টিনা। সেখানে হাজির হয়েছিল অগনিত মানুষ। জেরুজালেমে খেলতে না যাওয়ার প্রতিবাদে মাঠের বাইরে জড়ো হয়েছিল হাজার হাজার আন্দোলনকারীরা। এমনটি দেখে পরে মেসি অ্যান্ড কোং ম্যাচটি বাতিলের কথা তাদের ফেডারেশনকে জানিয়ে দেয়। অনেকের মতে, এই ম্যাচটি খেললে আর্থিকভাবে অনেক লাভবান হতো আর্জেন্টিনা দল। কিন্তু মানবিক দিক বিবেচনায় নিয়ে ইসরায়েলের বিপক্ষে ম্যাচ বাতিল করে দারুণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

ম্যাচটি খেলতে ইসরায়েলে যেতে হতো জর্জ সাম্পাওলির শিষ্যদের। কিন্তু আর্জেন্টাইন কোচ নিজেই সেখানে ম্যাচটি খেলতে যেতে চাননি। ফিলিস্তিন ফুটবল সংস্থার পক্ষ থেকে আর্জেন্টিনার ফুটবল সংস্থাকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করা হয়, মেসিদের ওই ম্যাচ বাতিল করে দিতে। ইসরায়েলের বন্দরনগরী হাইফার মাঠে গড়ানোর কথা ছিল ম্যাচটি।

অবশ্য, আর্জেন্টিনা-ইসরায়েল প্রীতি ম্যাচটি উত্তেজনার তুঙ্গে উঠে যায়। মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে সমস্ত টিকিট বিক্রি হয়ে যায় বলে জানিয়েছিল আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। তবে, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল চলমান সহিংসতার কারণে ম্যাচটি মাঠে গড়ানোর সম্ভাবনা তেমন ছিল না বলেই জানিয়েছিল আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যগুলো। এমনও জানা গিয়েছিল, ম্যাচটি নিয়ে আসা হতে পারে বার্সেলোনায়। ফিলিস্তিনিদের ওপর নারকীয় হামলার প্রতিবাদে হলেও আর্জেন্টিনা ইসরায়েলে গিয়ে ম্যাচটি খেলবে না বলে জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, আর্জেন্টিনার সাথে খেলা দেখতে যাওয়ার কথা ছিল দেশটির প্রেসিডেন্ট মাউরিসিও ম্যাক্রির। আপাতত তিনি তার সফর বাতিল করে দিয়েছেন। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচকে ঘিরে ইসরায়েলের তুমুল উত্তেজনা কাজ করলেও, পার্শ্ববর্তী দেশ ফিলিস্তিনে চলেছে ওই ম্যাচ বিরোধী নানা প্রচারণা। ফিলিস্তিনি নাগরিকদের মতে, ইসরায়েলের চলমান সহিংসতার পর আর সেই দেশে ‘সম্প্রীতি’ বলতে কিছু নেই। তাই ইসরায়েলে মেসিদের প্রীতি ম্যাচ খেলতে আসা সম্পূর্ণ অমূলক। ইসরায়েলি দখলদারিত্ব বিরোধী সংগঠন ‘বয়কট, ডাইভেস্টমেন্ট অ্যান্ড স্যাংশন’ (বিডিএস) ওই ম্যাচ খেলতে না যেতে আর্জেন্টিনা ও মেসির প্রতি আহ্বান জানায়। এ নিয়ে বিডিএস ‘আর্জেন্টিনা, ইসরায়েলে যাবে না’ নামে একটি প্রচারণা চালু করে।

সারাবাংলা/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন