বিজ্ঞাপন

বিশ্বকাপের বিশ্লেষণ: গ্রুপ ‘সি’ প্রিভিউ

June 8, 2018 | 1:36 pm

সারাবাংলা ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

বিশ্বকাপ উপলক্ষে সারাবাংলা ডট নেটে শুরু হয়েছে গ্রুপগুলো নিয়ে ধারাবাহিক বিশ্লেষণ। আজ থাকছে ফ্রান্স, পেরু, অস্ট্রেলিয়া ও ডেনমার্কের গ্রুপ ‘সি’।

 

ডেনমার্ক

বিজ্ঞাপন

১৯৯২ ইউরোতে রূপকথা লিখে যে দলটি শিরোপা জিতেছিল, সেই উচ্চতায় তারা এরপর কখনোই যেতে পারেনি। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে গিয়েছিল বটে, কিন্তু গত কয়েকটি বিশ্বকাপে তাদের থাকতে হয়েছে দর্শক হয়েই। এবারের বাছাইপর্বের শুরুটাও ভালো হয়নি, শেষ পর্যন্ত আয়ারল্যান্ডকে প্লে অফে হারিয়ে পেয়েছে বিশ্বকাপের টিকেট। ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের হ্যাটট্রিকে আবারও আট বছর পর বিশ্বকাপে যাচ্ছে ডেনমার্ক।

টটেনহামের হয়ে অনেকদিন ধরেই দারুণ খেলছেন এরিকসেন, এই দলের সবচেয়ে বড় তারকাও অবশ্য তিনি। বাছাইপর্বে ১১ গোল করে গোলদাতা তিনিই ছিলেন। তাঁর ওপর অতি নির্ভরতা কীভাবে কমানো যায়, সেটা নিয়ে অবশ্য ভাবতে হবে ডেনমার্ককে। যে গ্রুপে পড়েছে, সেখানে ফ্রান্স ছাড়া সেই অর্থে বড় কোনো শক্তি নেই। পরের পর্বে যাওয়ার আশা তারা করতেই পারে!

বিশ্বকাপে

বিজ্ঞাপন

৪ অংশগ্রহণ

০ সেমিফাইনাল

০ ফাইনাল

০ শিরোপা

বিজ্ঞাপন

প্রথম অংশগ্রহণ ১৯৮৬

শেষ অংশগ্রহণ ২০১০

সেরা অর্জন কোয়ার্টার ফাইনাল ১৯৯৮

 

অস্ট্রেলিয়া

সেই ১৯৭৪ সালে প্রথম বিশ্বকাপে খেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপরের আসর খেলার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ২০০৬ পর্যন্ত, সেবার উঠতে পেরেছিল দ্বিতীয় রাউন্ডে। ইতালির কাছে বিতর্কিত ওই গোলে হেরে যাওয়ার দুঃখ ভুলতে অবশ্য সময় লেগেছে তাদের। তবে এরপরের দুবারের চেষ্টায়ও পার করতে পারেনি প্রথম রাউন্ড। গত বারের আসরে কেহিলের ওই দুর্দান্ত গোল ছাড়া আর মনে রাখার মতো স্মৃতিও ছিল না।

এবারও যে প্রথম রাউন্ড পার করতে পারবে, সেটা জোর দিয়ে বলতে পারছে না। আক্রমণে সেই কেহিলই এখনও ভরসা, গোল করার লোকের বড্ড অভাব। বাছাইপর্বে উঠতেও যথেষ্ট কাঠখর পোড়াতে হয়েছে, সব অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২২টি ম্যাচ খেলতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। তার ওপর কোচ বার্ট ফন মারউইক দায়িত্ব নিয়েছেন খুব বেশিদিন হয়নি।

বিশ্বকাপে

৪ অংশগ্রহণ

০ সেমিফাইনাল

০ ফাইনাল

০ শিরোপা

প্রথম অংশগ্রহণ ১৯৭৪

শেষ অংশগ্রহণ ২০১৪

সেরা অর্জন দ্বিতীয় রাউন্ড, ২০০৬

 

ফ্রান্স

এবারের বিশ্বকাপ শুরুর আগে সবচেয়ে বড় জুয়াটা কে খেলেছে জানেন? ফ্রান্সের দল দেখলে দিদিয়ের দেশমের নাম নিশ্চিতভাবে চলে আসবে আপনার মাথায়। বেনজেমা, মার্শিয়াল, রাবিওত, লাকাজেতেসহ আরও অনেক পরীক্ষিতদের বাদ দিয়েই রাশিয়া যাচ্ছেন ফ্রান্স কোচ। আস্থা রেখেছেন নবীন উসমান দেম্বেলে, নাবিল ফেকির, থোভিনদের ওপর।

দেশমের অবশ্য ২৩ জনের দল নিয়ে মোটামুটি ঘাম ছুটে যাওয়ারই কথা। এত এত সব বড় খেলোয়াড়, কাকে ছেড়ে কাকে নেবেন? এবার অভিজ্ঞতার চেয়ে তারুণ্যের দিকেই ঝুঁকলেন। এর মধ্যে বড় ভরসা হিসেবে পগবা-গ্রিজমানরা তো আছেনই। কাগজে কলমে এই দলটা বিশ্বসেরা হতেই পারে। তবে এমন দল নিয়েও গত বার কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বাদ পড়েছিল ফ্রান্স, ইউরোতে নিজ দেশে ফাইনালে উঠেও পারেননি। বিশ্বকাপ জিততে আলাদা একটা জিগীষার দরকার হয়। সেটা এই ফ্রান্স দলের আছে কিনা সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।

বিশ্বকাপে

১৪ অংশগ্রহণ

৫ সেমিফাইনাল

২ ফাইনাল

১ শিরোপা

প্রথম অংশগ্রহণ ১৯৩০

শেষ অংশগ্রহণ ২০১৪

সেরা অর্জন চ্যাম্পিয়ন ১৯৯৮

 

পেরু

পেরুর জন্য এই বিশ্বকাপ বাকি ৩১ জনের চেয়ে অনেকটুকুইআলাদা। কারণ দুইটি। এক, ৩৬ বছর পর তারা ফিরছে বিশ্বকাপে। সত্তরের দশকে যারা বিশ্বকাপে পর পর দুইবার কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিল, তারাই আর খেলতে পারেনি। আর দুই নম্বর কারণ, বলিভিয়ার সাথে ভাগ্যে পাওয়া ওই তিন পয়েন্ট না হলে হয়তো বিশ্বকাপেই খেলা হতো না। বাছাইপর্বে ওই ম্যাচটা বলিভিয়াই জিতেছিল, কিন্তু অবৈধ একজন খেলোয়াড় নামানোর জন্য বাতিল হয়ে যায় সেই জয়। তিন পয়েন্ট যায় পেরুর কাছেই। বাছাইপর্বে একটা সময় আট নম্বরে থেকেও শেষ পর্যন্ত পাঁচ নম্বরে থেকে শেষ করেছে। এরপর প্লে অফে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে নিশ্চিত করেছে বিশ্বকাপ।

তবে সবচেয়ে বড় সারথী যিনি হতে পারতেন, তিনিই থাকছেন না এবার। পাওলো গেরেরো পেরুর অধিনায়কই শুধু নন, সবচেয়ে বড় তারকা। কিন্তু ডোপ-পাপের জন্য বিশ্বকাপ পর্যন্ত নিষিদ্ধ। তাঁর শূন্যতা পূরণ কীভাবে হবে, সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।

বিশ্বকাপে

৪ অংশগ্রহণ

০ সেমিফাইনাল

০ ফাইনাল

০ শিরোপা

প্রথম অংশগ্রহণ ১৯৩০

শেষ অংশগ্রহণ ১৯৮২

 

সারাবাংলা/এএম/এসএন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন