বিজ্ঞাপন

নয়া দিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

October 3, 2019 | 1:08 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নয়া দিল্লির আগ্রহে চার দিনের দ্বিপাক্ষিক সফরে ভারতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভিভিআইপি ফ্লাইট বিজি-২০৩০ বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকাল সোয়া আটটায় শেখ হাসিনাকে নিয়ে নয়া দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যায়। এর পর ভারতের স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ১০টার পর নয়া দিল্লির পালাম বিমানবাহিনী স্টেশনে ফ্লাইটটি অবতরণ করে।

বিজ্ঞাপন

সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান ভারতের নারী ও শিশুকল্যাণ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ।

প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে দুই দেশের সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে কমবেশি এক ডজন চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন কূটনৈতিক সূত্রগুলো।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর: গুরুত্ব পাবে যেসব ইস্যু

ঢাকা-নয়া দিল্লি কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানাচ্ছে, অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী যে ভারত যাবেন, তা অনেক আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই সফর উপলক্ষে ঢাকাও সফর করে গেছেন। প্রথমে কথা ছিল, ৩ ও ৪ অক্টোবর নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠেয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডাব্লিউইএফ) ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিটে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে এই সফরটিকে নয়া দিল্লি একটি দ্বিপাক্ষিক সফরে পরিণত করার আগ্রহ দেখালে ঢাকা তাতে সাড়া দেয়।

সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে আগামী শনিবার (৫ অক্টোবর) সকালে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে যুব উন্নয়ন, বন্দর ব্যবহার, যোগাযোগ, উন্নয়ন সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা, পানি, সমুদ্র অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও জ্বালানি গুরুত্ব পাবে বলে জানা যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

সর্বশেষ গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ অধিবেশনের সাইড লাইনে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে সন্ত্রাস ও চরমপন্থা ইস্যুতে জিরো টলারেন্সের বার্তা পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই দেশের সম্পর্কে স্থল, নদী ও আকাশ যোগাযোগে উন্নতি, জ্বালানি খাতে দৃষ্টান্তস্বরূপ অগ্রগতি এবং বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক খাতের উন্নয়ন এই অঞ্চলের শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে অবদান রাখছে বলে দুই প্রধানমন্ত্রী গত একমত পোষণ করেন।

আরও পড়ুন-

পানি-প্রতিরক্ষায় ঢাকার অবস্থান কী, জানাতে পারল না মন্ত্রণালয়

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন