বিজ্ঞাপন

অনিক খুনের দুই আসামি কলকাতায় গ্রেফতার, রাতে আনা হচ্ছে চট্টগ্রামে

June 25, 2018 | 5:36 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে এম আর অনিক (২৬) খুনের দুেই আসামিকে গ্রেফতারের পর বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ট্রাস্কফোর্স। সোমবার (২৫ জুন) দুপুর তিনটার দিকে তাদের বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আজ রাতেই তাদের চট্টগ্রামে আনা হচ্ছে।

চট্টগ্রামে অনিককে খুন করার পরদিন আত্মগোপনে ছিলেন মহিউদ্দীন তুষার (২৫) ও এখলাসুর রহমান (২৫)।

দুই যুবকের মধ্যে মহিউদ্দীন তুষার চট্টগ্রামের স্থানীয় যুবলীগ নেতা।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মোস্তাইন হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘তুষারসহ দুজনকে আমরা আমাদের হেফাজতে নিয়েছি। রাতের মধ্যে পুলিশ তাদের নিয়ে চট্টগ্রামে পৌঁছবে। সার্বিক বিষয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় দামপাড়া পুলিশ লাইনের মাল্টিপারপাস শেডে সংবাদ সম্মেলন করা হবে।’

গত ১৭ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর চকবাজার থানার দামপাড়া ব্যাটারি গলির মুখে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতার ছেলে এম আর অনিক (২৬) খুন হন। তাদের বাসাও দামপাড়া পল্টন রোডে।

বিজ্ঞাপন

পুলিশ জানায়, মোটর সাইকেলে চড়ে এলাকার ঘটনাস্থলের সামনের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় অনিকের ছোট ভাই রনিকের সঙ্গে স্থানীয় যুবলীগ নেতা মহিউদ্দিন তুষারের অনুসারীদের ঝগড়া হয়। পরে তুষারও ওই ঝগড়ায় যোগ দেয়। পরিস্থিতি শান্ত করতে গিয়ে অনিক ও তার বাবা প্রতিপক্ষের রোষানলে পড়েন। এসময় অনিককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় অনিকের বাবা তুষারকে প্রধান আসামি করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এখলাসুর ওই মামলার ১০ নম্বর আসামি।

হত্যাকাণ্ডের সাতদিনেও এই মামলার একজন আসামিকেও ধরতে না পারায় সমালোচনার মুখে পড়ে পুলিশ। যুবলীগ নেতা তুষার চট্টগ্রামের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হওয়ায় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে আসামিদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ ওঠে।

তবে শেষ পর্যন্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কোলকাতার ফ্রি স্কুল স্ট্রিট এলাকা থেকে তুষার ও এখলাসুরকে গ্রেফতার করে কোলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স। হত্যাকাণ্ডের পরদিনই তুষার ও এখলাসুর বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে গিয়েছিল বলে তথ্য দিয়েছে সেদেশের গণমাধ্যম।

এদিকে তুষারসহ আসামিদের পালিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় দেশের সকল বিমানবন্দর, স্থলবন্দরসহ সব সীমান্তপথে সতর্কতা জারি করা হয়। তবে এর আগেই দুইজন ভারতে পালিয়ে যান।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/একে

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন