বিজ্ঞাপন

বিএনপিকে নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আত্মপ্রকাশ

October 13, 2018 | 6:28 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য’র অন্যতম উদ্যোক্তা সাবেক রাষ্ট্রপতি বিকল্পধারা বাংলাদেশ-এর প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী (বি. চৌধুরী)-কে ছাড়াই আত্মপ্রকাশ করল সরকারবিরোধী নতুন রাজনৈতিক জোট ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।’

নতুন এ জোটে রয়েছে রাজপথের প্রধান বিরোধীদল ‘বিএনপি’, ড. কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন গণফোরাম, আ স ম আব্দুর রব নেতৃত্বাধীন ‘জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল’ (জেএসডি) এবং মাহমুদুর রহমান মান্না নেতৃত্বাধীন ‘নাগরিক ঐক্য’।

শনিবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে এ জোটের নাম ঘোষণা করা হয়। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না নতুন জোটের ৭ দফা দাবি ও ১১টি লক্ষ্য তুলে ধরেন।

বিজ্ঞাপন

প্রায় একই সময় রাজধানীর বারিধারায় নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে যুক্তফ্রন্টের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী সাফ জানিয়ে দেন, স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে কোনো ঐক্য করবে না বিকল্পধারা। বিএনপিকে এককভাবে ক্ষমতায় বসানোর চক্রান্তের সঙ্গে তারা নেই।

এর আগে মতিঝিলে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে দিনভর বৈঠক করেন ড. কামাল হোসেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুল রব, নাগরিক ঐক্যর আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ও সমমনা রাজনৈতিক দলের নেতারা।

ওই বৈঠক শেষ করে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এসে নতুন জোট ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’র নাম ঘোষণা করেন তারা। সেখানে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু বক্তব্য দেন।

বিজ্ঞাপন

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দাবি ও লক্ষ্য ঘোষণার পাশাপাশি আগামী দিনের কর্মসূচি সম্পর্কেও একটা ধারণা দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে। কর্মসূচি সম্পর্কে আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘আমানত শাহ-বদর শাহ’র পুণ্যভূমি চট্টগ্রাম, হযরত শাহজালালের পুণ্যভূমি সিলেট, হযরত শাহ মকদুমের পুণ্যভূমি রাজশাহীসহ সারা বাংলাদেশের থানা, উপজেলা, নির্বাচনী এলাকা, জেলা, নগর-মহানগর আমরা চষে বেড়াব। আমাদের নেতা (ড. কামাল হোসেন) আমাদের সঙ্গে থাকবেন।

আমাদের এ কর্মসূচি আমরা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে পালন করব। একই সঙ্গে দলীয় কর্মসূচিও চলতে থাকবে। অনতিবিলম্বে আমরা আমাদের কর্মসূচি ঘোষণা করব। আমরা কূটনীতিকদের সঙ্গে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে, শিল্পী-কবি-সাহিত্যিকদের সাথে আমরা মত বিনিময় করব’— বলেন আ স ম আব্দুর রব।

সভাপতির বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আমরা যেটা দাবি করেছি, সেটা হলো নিরপেক্ষ নির্বাচন। আমাদের এই দাবির সঙ্গে দেশের কোটি কোটি জনগণ আছে। সুতরাং আমরা কাউকে ভয় করি না।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের শিখিয়ে গেছেন, সংবিধানে লিখে গেছেন, দেশের মালিক জনগণ। সেই জনগণের ভোটেই সরকার গঠন হবে। আইনমন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল পারলে এর বিকল্প কিছু করে দেখাক।’

বিজ্ঞাপন

ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘সব জনগণ যদি এক হয়, তাহলে সরকারের যত বন্দুক, যত কামান থাকুক না কেন, দাবি আদায়ের পথ থেকে সরাতে পারবে না। আমরা মরার ভয় করি না। পারলে আমাদের ওপর গুলি চালাক— এ সাহস আমরা বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে পেয়েছি।’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার বক্তব্যে বলেন, ‘যে জাতি গণতন্ত্রের জন্য ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিল, বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল, সেই জাতি আজ গণতন্ত্রবিহীন। সেই জাতি আজ প্রতিনিয়ত স্বৈরাচারের অত্যাচার সহ্য করেছে। সেই জাতির মুক্তির জন্য, গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আজ গণমানুষের আন্দোলনের নতুন সূচনা হলো।’

তিনি বলেন, ‘এই লড়াই আমরা লড়ছি দীর্ঘকাল ধরে। এই স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে গত ১০ বছর ধরে আমরা লড়াই করছি। তারা আমাদের ভোটের অধিকার হরণ করেছে, বাকস্বাধীনতা হরণ করেছে, আমাদের নিরাপদে বেঁচে থাকার অধিকার হরণ করেছে।’

‘আমরা ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে জয়লাভ করে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। দুর্ভাগ্য আমাদের। যে দলটি তখন নেতৃত্বে ছিল, সেই দলটির হাতেই বার বার সেই গণতন্ত্র নিহত হয়েছে। গণতন্ত্রের জন্য যিনি দর্ঘিকাল লড়াই করেছেন, করছেন, সেই নেত্রী খালেদা জিয়া আজ মিথ্যা মামলায় কারারুদ্ধ’— বলেন ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘আমরা আজকে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, শপথ নিয়েছি অধিকারগুলোকে আদায় করে তারপর আমরা ঘরে ফিরব। এখনো অনেকেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বাইরে রয়েছেন। আমি তাদেরকে আবারও আহ্বান জানাব আসুন, আমরা সবাই একজোট হয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্য ঐক্যবদ্ধ হই।’

জোটের দফা দাবি হলো-

১. অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সরকারের পদত্যাগ, জাতীয় সংসদ বাতিল, সকল রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার গঠন একং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

২. গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করার নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।

৩. বাক, ব্যক্তি, সংবাদপত্র, টেলিভিশন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সকল রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা এবং নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।

৪.কোটা সংস্কার আন্দোলন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সাংবাদিকদের আন্দোলন এবং সামাজিক গণমাধ্যমে স্বাধীন মত প্রকাশের অভিযোগে ছাত্র-ছাত্রী, সাংবাদিকসহ সবার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির নিশ্চয়তা দিতে হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সকল কালো আইন বাতিল করতে হবে।

৫. নির্বাচনের ১০ দিন পূর্ব থেকে নির্বাচনের পর সরকার গঠন পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত ও নিয়ন্ত্রণের পূর্ণ ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত করতে হবে।

৬. নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে দেশি ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং সম্পূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে ভোট কেন্দ্র, পোলিং বুথ, ভোট গণনাস্থল ও কন্ট্রোল রুমে তাদের প্রবেশের ওপর কোনো প্রকার বিধি-নিষেধ আরোপ না করা। নির্বাচনকালীন গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর যে কোনো ধরনের নিয়ন্ত্রণ বন্ধ করতে হবে।

৭. নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তারিখ থেকে নির্বাচনের ফলাফল চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত চলমান সব রাজনৈতিক মামলা স্থগিত রাখা ও কোনো ধরনের নতুন মামলা না দেওয়ার নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।

অন্যদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ১১ লক্ষ্য হলো-

১. মহান মুক্তিসংগ্রামের চেতনা ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষে বিদ্যমান স্বেচ্ছাচারী শাসন ব্যবস্থার অবসান করে সুশাসন, ন্যায়ভিত্তিক, শোষণমুক্ত ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠন গরা। এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক নির্বাহী ক্ষমতা অবসানকল্পে সংসদে, সরকারে, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনয়নসহ প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণ ও ন্যায়পাল নিয়োগ করা।

২. ৭০ অনুচ্ছেদসহ সংবিধানের যুগোপযোগী সংশোধন করা। জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করাসহ সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানসমূহের গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ, সৎ-যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ দানের জন্য সাংবিধানিক কমিশন ও সাংবিধানিক কোর্ট গঠন করা।

৩.  বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ক্ষমতা নিশ্চিত করা এবং স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিচারক নিয়োগের নীতিমালা প্রণয়ন ও সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করা।

৪. দুর্নীতি দমন কমিশনকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার নিশ্চিত করা। দুর্নীতিমুক্ত, দক্ষ ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন গড়ে তুলে সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে দুর্নীতিকে কঠোর হাতে দমন।

৫. দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির পরিবেশ সৃষ্টি, বেকারত্বের অবসান ও শিক্ষিত যুব সমাজের সৃজনশীলতাসহ রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নিয়োগদানের ক্ষেত্রে মেধাকে যোগ্যতা হিসেবে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় কোটা সংস্কার করা।

৬. সকল নাগরিকের জান-মালের নিরাপত্তা ও মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চয়তার বিধান করা। কৃষক-শ্রমিক ও দরিদ্র জনগণের শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান ও পুষ্টি সরকারি অর্থায়নে সুনিশ্চিত করা, নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা।

৭. জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় সরকারসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহকে দুর্নীতি ও দলীয়করণের কালো থাবা থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে এসব প্রতিষ্ঠানের সার্বিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন ও কাঠামোগত সংস্কার সাধন করা।

৮. রাষ্ট্রের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, জনগণের আর্থিক স্বচ্ছলতা ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ রাষ্ট্রের সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা, জাতীয় সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার, সুষম বণ্টন, ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য দূরীকরণ ও জনকল্যাণমুখী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা। নিম্ন আয়ের নাগরিকদের মানবিক জীবনমান নিশ্চিত করা এবং দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ  বেতন-মজুরি কাঠামো নির্ধারণ করা।

৯. জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যমত গঠন এবং প্রতিশোধ, প্রতিহিংসা ও নেতিবাচক রাজনীতির বিপরীতে ইতিবাচক সৃজনশীল এবং কার্যকর ভারসাম্যের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করা। কোনো জঙ্গি গোষ্ঠীকে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে না দেওয়া।

১০. সকল দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়, এই নীতির আলোকে জনস্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তাকে সমুন্নত রেখে স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতি অনুসরণ করা এবং প্রতিবেশী দেশসমূহের সঙ্গে পারষ্পরিক সৎ প্রতিবেশীসুলভ বন্ধুত্ব ও সমতার ভিত্তিতে ব্যবসা বাণিজ্য, যোগাযোগ ও বিনিয়োগ ইত্যাদির ক্ষেত্রে আন্তরিকতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার কার্যকর উদ্যোগ ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

১১. বিশ্বের সকল নিপীড়িত মানুষের ন্যায়সঙ্গত অধিকার ও সংগ্রামের প্রতি পূর্ণ সমর্থন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তাদের দেশে ফেরত ও পুনর্বাসনের কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার এবং দেশের সার্বভৌমত্ব ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সুরক্ষার লক্ষ্যে প্রতিরক্ষা বাহিনীর আধুনিক প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি ও সমর সম্ভারে সুসজ্জিত, যুগোপযোগী করা।

সারাবাংলা/এজেড/একে

আরও পড়ুন:

জাতীয় ঐক্য থেকে বাদ বি. চৌধুরী-মাহী বি, ভাঙছে বিকল্পধারা
ড. কামালের বাসা থেকে ফিরে গেলেন বি চৌধুরী-মাহী
বিকল্পধারার দুই নেতাকে বহিষ্কার

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন