বিজ্ঞাপন

মৌলভীবাজারে পানিবন্দি ২ লাখ মানুষ

June 16, 2018 | 8:41 pm

।। হৃদয় দেবনাথ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

মৌলভীবাজার: চরম অবনতির দিকে যাচ্ছে মৌলভীবাজারের বন্যা পরিস্থিতি। ১৫টি স্থানে শহর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে ২ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। বন্যার্তদের জন্য ৫৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

এদিকে ক্রমেই বেড়ে চলেছে মনু নদীর পানি। শনিবার ১৬ (জুন) দুপুরে চাঁদনীঘাট পয়েন্টে বিপদ সীমার ১৫৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। চরম ঝুঁকিতে পড়েছে মৌলভীবাজার শহর রক্ষাবাঁধ। শহরের সাইফুর রহমান রোডে অন্তত ২০টি জায়গা দিয়ে পানি ঢুকছে শহরে। বন্ধ রয়েছে শহরের সাইফুর রহমান রোডের যান চলাচল।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১৫ জুন) দিবাগত রাতে সেনাবাহিনীর ৬ সদস্যের দল পর্যবেক্ষণ শেষে পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধে বালির বস্তা ফেলতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাত থেকেই কয়েক হাজার বালুর বস্তা শহর রক্ষা বাঁধে ফেলা হয়েছে। সার্বক্ষণিক অবস্থান করছেন জেলা প্রশাসক তোফায়েল ইসলাম, পুলিশ সুপার শাহ জালাল, পৌর মেয়র ফজলুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহ প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী পার্থসহ আরও অনেকে।

শনিবার দুপুর থেকেই মৌলভীবাজার শহর রক্ষা বাঁধে কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনী ৬ সদস্যের অগ্রবর্তী দল পর্যবেক্ষণ শেষে দুপুরে ৬০ সদ্যসের টিম আনার সিদ্ধান্ত নেয়।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে দেখা যায়, মনুনদের পানি গতকাল রাতের বিপদসীমার ১৪৬ সেন্টিমিটার থেকে বেড়ে শনিবার বিপদ সীমার ১৫৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শাহবন্ধর থেকে শেরপুর পর্যন্ত ঢাকা সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের অন্তত ৩০টি জায়গা দিয়ে প্রতিরক্ষা বাঁধ উপচে পানি ঢুকছে। হাজার হাজার এলাকাবাসী ঈদের আনন্দ পেছনে ফেলে জীবন বাঁচানোর তাগিদে রাস্তায় নেমে এসেছেন। তারা নিজ নিজ উদ্যোগে বালুর বস্তা ফেলে প্রতিরক্ষা বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করছে।

পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী পার্থ সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, আর মাত্র ৫ ইঞ্চি পানি বাড়লেই শহর রক্ষা বাঁধের উপর দিয়ে উপচে পানি ঢুকবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও জানান, শনিবার দুপুরে শহরতলির মাতার কাপন এলাকায় নতুন করে মনু নদীর ভাঙন দেখা দেওয়ায় কমলগঞ্জ থানা রক্ষায় ১ হাজার বালুর বস্তা পাঠিয়েছে পাউবো। এরইমধ্যে ২০ হাজার বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে মনু এবং ধলাই নদির প্রতিরক্ষা বাধের ঝুঁকিপূর্ণ অংশ রক্ষা করতে।

এদিকে হবিগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জ থেকে আরো বস্তা মৌলভীবাজারে পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছেন পাউবোর মহা-পরিচালক মো. মাহফুজ রহমান।

মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক তোফায়েল ইসলাম সারাবাংলাকে জানান, কুলাউড়া এবং রাজনগরে সেনাবাহিনী প্লাবিত এলাকায় কাজ করছে, শহর রক্ষা করতেও কাজ শুরু করছে।

তিনি আরও জানান, মৌলভীবাজারে ১৫টি স্থানে শহর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে দুই লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। বন্যার্তদের জন্য ৫৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে এবং তা সঠিকভাবে বিতরণ করা হচ্ছে।

সারাবাংলা/টিএম/একে

আরও পড়ুন

মৌলভীবাজারে বন্যায় তলিয়ে গেল প্রতিবন্ধীসহ ৩, নিখোঁজ আরো ৫
মৌলভীবাজারে বন্যার্তদের পাশে সেনাবাহিনী

** দ্রুত খবর জানতে ও পেতে সারাবাংলার ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন: Sarabangla/Facebook

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন