June 16, 2018 | 8:37 am
।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
মৌলভীবাজার: অতিবৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় প্লাবিত মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও, শরীফপুর, হাজীপুর, পৃথিমপাশা ইউনিয়নে দুর্ভোগে পড়া মানুষদের সহায়তায় মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
মনু নদের পানি এখনো বিপদসীমার ১৫৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আতঙ্ক নিয়েই তাই নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন মৌলভীবাজারবাসী! শুক্রবার মধ্যরাতেই সেনাবাহিনীর একটি বিশেষজ্ঞ টিম বন্যাক্রান্ত এলাকা পর্যবেক্ষণ করেন। শনিবার (১৬ জুন) থেকে ৬০ সদস্যের একটি দল শহর রক্ষা বাধ এবং বন্যার্তদের জন্য কাজ করবেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কুলাউড়া উপজেলা প্রশাসনের সাথে জরুরি বৈঠক করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি প্রতিনিধি দল। জরুরি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার-২ আসনের সাংসদ মো. আব্দুল মতিন, সেনাবাহিনী প্রতিনিধি দলের সিইও কর্নেল শাহাব, কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসম কামরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী মো. গোলাম রাব্বী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাদিউর রহিম জাদিদ, সিনিয়র মৎস্য অফিসার সুলতান মাহমুদ প্রমুখ।
কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আ স ম কামরুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘বন্যার্তদের জন্য যে ত্রাণ সামগ্রী আছে তা সেনাবাহিনী চারটি ইউনিয়নে পৌঁছে দেবে। সেনাবাহিনীর এই প্রতিনিধি দলকে সহায়তা করবেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানরা।’
কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী মো. গোলাম রাব্বী বলেন, ‘তিনটি ইউনিটে কুলাউড়ার বন্যায় আক্রান্ত মানুষের সহায়তা করতে কাজ শুরু করবে সেনাবাহিনী। শুক্রবার সন্ধ্যায় দুযোর্গ ব্যবস্থাপনার জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় বন্যায় আক্রান্ত প্রতিটি এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হবে।’
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক তোফায়েল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘সেনাবাহিনীর একটি টিম কুলাউড়ায় কাজ শুরু করবে ঈদের নামাজের পর। এই টিমকে সহায়তা করবে উপজেলা প্রশাসন।’
উল্লেখ্য, মৌলভীবাজারে বেশ কয়েকটি এলাকার কয়েক হাজার মানুষ এখন পানিবন্দি। পাকা আউশ ধানের খেত পানির নিচে। সড়কে পানি ওঠায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগব্যবস্থা। ঈদ উৎসবের কোনো আমেজ নেই এসব এলাকায়। বানের পানিতে ভেসে গেছে মানুষের ঈদের আনন্দ।
সারাবাংলা/এমও