বিজ্ঞাপন

সেই শাহনাজের বাইকটি ছিনতাই

January 15, 2019 | 11:11 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: রাজধানীর রাস্তায় উবারে মোটরসাইকেল চালিয়ে দুই মেয়েকে নিয়ে একা হাতে লড়াই চালিয়ে যাওয়া নারী বাইকার শাহনাজ আক্তার পুতুলের সেই বাইকটি ছিনতাই হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে শাহনাজের মাহিন্দ্রা ব্র্যান্ডের নীল রঙের স্কুটিটি অভিনব কৌশলে ছিনতাই হয়েছে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানার খামারবাড়ি এলাকা থেকে।

এ ঘটনায় শাহনাজ আক্তার শেরে বাংলা নগর থানায় জিডি করেছেন। উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন হারিয়ে ভেঙেও পড়েছেন তিনি। পুলিশ বলছে, স্কুটিটি উদ্ধারে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, দেশে সম্প্রতি মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিং সেবা জনপ্রিয় হলেও নারী বাইকারদের সংখ্যা এখনও অত্যন্ত সামান্য। রাজধানীতে যে কয়েকজন নারী এই সেবার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে চলেছেন, তাদের মধ্যে শাহনাজ অন্যতম। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তিনি আলোচিত হয়েছেন। তাকে নিয়ে ‘স্যালুট শাহনাজ আপা’ শিরোনামে প্রতিবেদনও ছাপিয়েছে সারাবাংলা।

শেরে বাংলা নগর থানায় দায়ের করা জিডিতে বলা হয়েছে, গত ১০ জানুয়ারি শ্যামলী এলাকায় আসামি জনির (২৭) সঙ্গে পরিচয় হয় শাহনাজের। জনি নিজে রাইড শেয়ারিং সার্ভিস পাঠাওয়ে বাইক চালায় বলে পরিচয় দেন শাহনাজের কাছে। তিনি শাহনাজকে আশ্বাস দেন, তার জন্য একটি স্থায়ী চাকরির ব্যবস্থা করে দেবেন।

বিজ্ঞাপন

জিডিতে বলা হয়, সেই আশ্বাস অনুযায়ী মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শাহনাজকে খামারবাড়ি আসতে বলেন জনি। পরে সেখান থেকে যেতে বলেন বিমানবন্দর এলাকায়। এভাবে কয়েকটি স্থান ঘুরিয়ে শাহনাজকে ফের খামারবাড়ি এলাকায় আসতে বলেন জনি। বিকেল ৩টার দিকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে চায়ের টং দোকানের সামনে স্কুটি রেখে চা খেতে বসেন শাহনাজ ও জনি। এসময় শাহনাজের কাছে স্কুটি চালানোর নিয়ম জানতে চান জনি। পরীক্ষামূলকভাবে চালানোর কথা বলে চম্পট দেন বাইক নিয়ে।

জিডিতে শাহনাজ লিখেছেন, “এক পর্যায়ে আসামি বলেন, ‘দেন তো কীভাবে চালায় দেখি’। আমি সরল বিশ্বাসে আসামিকে স্কুটি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সে দ্রুত স্কুটি নিয়ে পালিয়ে যায়। আমি পিছু পিছু ধাওয়া করলেও তাকে ধরা সম্ভব হয়নি।”

শাহনাজ সারাবাংলাকে বলেন, ‘গাড়িটা না পেলে আমি কাল আমার বাচ্চার টিফিনের টাকা দিতে পারব না। পাঁচ হাজার টাকা ঋণ করে বাচ্চাকে স্কুলে ভর্তি করেছি, সেই টাকাও শোধ করতে হবে।’

শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিজি বিশ্বাস সারাবাংলাকে বলেন, শাহনাজ আক্তার তার বাইক হারানোর ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

সারাবাংলা/জেএ/এসএইচ/এটি

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন