বিজ্ঞাপন

সৌদি আরব ফেরত অনেক নারী মানসিক ভারসাম্যহীন

May 31, 2018 | 3:29 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: সৌদি আরব থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে সাড়ে চার হাজারের বেশি নারী শ্রমিক দেশে ফেরত এসেছেন। দেশটির বিভিন্ন জেল ও সেফ হাউজে হাজার হাজার নারী আছেন ফেরার অপেক্ষায়। ফেরত আসা নারীদের অনেকেই মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। তবে, এসব নির্যাতিত নারীদের অনেককেই পরিবার গ্রহণ করতে চাচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার (৩১ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সৌদি আরবে নারী গৃহকর্মীর ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলা হয়। বাংলাদেশ সিভিল সোসাইটি ফর মাইগ্রেশনের (বিসিএসএম) উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন অভিবাসী নিয়ে কাজ করছে— এমন ১১টি সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এর মধ্যে রয়েছে রামরু, বমসা, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, আইন ও শালিশ কেন্দ্র ও ব্র্যাক।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালক রীনা রায় বলেন, সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরত আসা নারী গৃহকর্মীরা তাদের ওপর নির্যাতনের ভয়াবহ বর্ণনা দিচ্ছেন। অধিক সময় ধরে কাজ করানো, সময়মত ঘুমাতে ও ঠিকমত খাবার না দেওয়া, মাস শেষে নির্ধারিত বেতন না দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। শুধু তাই নয়, গৃহকর্তা ও বাড়ির অনান্যদের হাতে ভয়াবহ শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে আসতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে নারী গৃহকর্মীদের ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালানো হয়। গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া, মাথায় গরম পানি ঢেলে দেওয়া, গরম খুন্তি, আয়রন দিয়ে শরীর পুড়িয়ে দেওয়া এবং খাবার ও পানি ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে ঘরে বন্দি করে রাখার মতো ঘটনা ঘটছে। এতে করে ফেরত আসা অনেকেই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছেন। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ভয়াবহ।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সরকারের পক্ষ থেকে এই নির্যাতনের বিষয়ে জোরালো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। বরং বিভিন্ন সময়ে সরকারের দায়িত্বশীল স্থান থেকে নির্যাতনের ঘটনাকে নগণ্য ও বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। অবিলম্বে সৌদি আরবে এসব নারী নির্যাতনের ঘটনার বিরুদ্ধে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, সরকারের পক্ষ থেকে সৌদি আরবসহ বিদেশে কাজ করতে যাওয়া প্রতিটি নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ফেরত আসা নারীদের ক্ষতিপূরণ, স্বাস্থ্যসেবা ও প্রাপ্য মজুরি দিতে হবে। একইসঙ্গে গৃহকর্তা বা গন্তব্য দেশের এজেন্সি কর্তৃক যৌন নির্যাতনে গর্ভবতী হওয়া নারী শ্রমিক ও তার শিশুর দায়িত্ব ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে এবং দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/জেএএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন