বিজ্ঞাপন

দিনাজপুরে শিক্ষকের বেতের আঘাতে চোখ হারাতে বসেছে আশিকুর

July 23, 2018 | 12:18 pm

।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

দিনাজপুর: দিনাজপুরে আশিকুর রহমান (১৫) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী তার একটি চোখ হারাতে বসেছে। নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের হেমায়েতপুর চাইল্ড কেয়ার রেসিন্সিয়াল মডেল স্কুলে শিক্ষকের বেতের আঘাতে গত ১৭ জুলা্ই ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নবাবগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক রয়েছেন।

হেমায়েতপুর চাইল্ড কেয়ার রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলে কোনো শিক্ষার্থী একদিন স্কুলে অনুপস্থিত থাকলে তাকে দশটি বেতের আঘাত দেওয়া হবে এমন মৌখিক নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। গত ১৬ জুলাই শারীরিক অসুস্থতার কারনে আশিকুর স্কুলে উপস্থিত হতে পারেনি। পরদিন স্কুলে পৌঁছালে শ্রেণী শিক্ষক মানিক মিঞা তাকে বেত দিয়ে আঘাত করেন। এসময় বেতের একটি আঘাতে তার ডান চোখে লেগে রক্ত পড়তে থাকে।

গুরুতর আহত  অবস্থায় তাকে  প্রথমে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগে ভর্তি করা হয়। এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সব পরীক্ষা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেন। পরে রোববার গভীর রাতে তাকে ঢাকা নিয়ে আসা হয়।

বিজ্ঞাপন

এ ব্যাপারে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. হারিসুল ইসলাম সারা বাংলাকে জানান, আশিকুরের ডান চোখে ভারি আঘাত লেগেছে। সমস্ত পরীক্ষা-নীরিক্ষা শেষে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে তার চোখ ভালো হওয়ার আশঙ্কা খুবই কম।

দিনাজপুর নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার জানান, এ ঘটনায় আহত ছাত্র আশিকুর রহমানের মামা সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে  একটি মামলা দায়ের করেছে। তবে  ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক মানিক পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। আহত আশিকুর দাউদপুর কলেজপাড়া এলাকার তোফায়েল আহমেদ বাবুর ছেলে।

অভিযোগ রয়েছে যে, উক্ত স্কুলটির দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদানের অনুমতি  না থাকলেও  তারা অবৈধভাবে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস নিচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেএএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন