February 22, 2019 | 5:49 pm
।। হাবীবুর রহমান, সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গায়ে হলুদ, শুক্রবার বিয়ে। মামাতো বোনের জন্য সব কেনাকাটাও করেছিলেন নয়ন। ২১ ফেব্রুয়ারি ছুটি, তাই সকালে ক্রিকেট ম্যাচ খেলবেন- সে কথাও পাকা ছিল।
পুরো নাম মিরাজ খান নয়ন। বয়স ২৪ বছর। বাসা ছিল লালবাগ এলাকায়। কেনাকাটা শেষে মোবাইল ফোনে বাসায় কথাও বলেন। তারপর থেকেই নিখোঁজ। নয়ন কাজ করতেন চকবাজারের একটি কসমেটিক্সের দোকানে। বেতন পেতেন ৭ হাজার টাকা, মূলত তাতেই চলতো সংসার। নয়নের বাবা ফিরোজ খান ভ্যান চালান।
ফিরোজ খান জানান, নয়ন আর ফেরেনি। কথা শেষ হওয়ার পর থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। বলেন, শুনলাম আগুন লাগছে। অনেক বড় আগুন। অনেক খোঁজ করলাম, কোথাও নাই। বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল মর্গে এসে জানালা দিয়ে দেখি, নয়নের লাশ। আমার একমাত্র ছেলে। আমি কী করমু? কই যামু?
শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) আজিমপুর কবরস্থানে নয়নের দাফন সম্পন্ন হয়। শোকে পাথর ফিরোজ খান বসে আছেন ছেলের কবরের পাশে। হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন, ছেলের কবরের ওপর।
বাইরে দাঁড়িয়ে নয়নের বোন ফারজানা। তিনি জানান, তিনটি বোন আর একমাত্র ভাই নয়ন। ‘এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না, এভাবে চলে গেছে’, বলেন ফারজানা।
আজিমপুরে এসেছেন নয়নের বন্ধুরাও। তারা জানান, ১ মাস আগে ক্রিকেট ম্যাচের ফাইনাল খেলার জন্য তারা জার্সি কিনেছিলেন। নয়নও গিয়েছিলেন জার্সি কিনতে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় রহমত-উল্লা স্কুল মাঠে ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল।
নয়নের বন্ধু বিল্লা বলেন, বুধবার রাত ৮টায় নয়নের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল। ম্যাচ নিয়ে আলাপ হয়। নয়নের এই পরিণতি হবে- কোনোদিন কল্পনাও করিনি।
সারাবাংলা/এটি