বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রীর নামে মানহানির মামলা হতে পারে: ফখরুল

January 11, 2018 | 4:35 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

জাতীয় সংসদে ‘অসত্য’ বক্তব্য দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর নামে মানহানির মামলা হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সংসদে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

ফখরুল বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) সংসদে প্রধানমন্ত্রী বিদেশে খালেদা জিয়ার যে সম্পদের কথা বলছেন, যে সম্পদের নাম দেওয়া হয়েছে, বাস্তবে সেই সম্পদের কোনো অস্তিত্বই নেই। মিথ্যাচার করে গোটা দেশবাসীকে প্রধানমন্ত্রী বিভ্রান্ত করছেন। সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) যে বিভ্রান্ত করবার চেষ্টা করছেন, এটা এক ধরনের রাষ্ট্রদ্রোহিতাও বটে। এ জন্য তার বিরুদ্ধে একটা মানহানি মামলা হতে পারে।’

বিজ্ঞাপন

‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অশ্রাব্য, হিতাহিত কাণ্ডজ্ঞানহীন, বিবেচনাহীন, সভ্যতা-ভব্যতা ও সুরুচির ওপর হিংস্র আগ্রাসন বলে মনে করছি। এহেন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছি’- বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে শপথ ভঙ্গের সঙ্গে তুলনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘উনি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছেন আন্ডার ওথ। শপথ নিয়েছেন যে উনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন, সত্য কথা বলবেন, মিথ্যা কথা বলবেন না। সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি মিথ্যা কথা বলতে পারেন না, গোটা জাতিকে বিভ্রান্ত করতে পারেন না। অথচ সংসদ তিনি এই মিথ্যাচার করছেন।’

তিনি বলেন, ‘সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য যেন গণতন্ত্রের ওপর বিষাক্ত তীর নিক্ষেপ। দেশের জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন তা শুধু অনভিপ্রেত বা দুঃখজনকই নয় বরং এটি রাজনৈতিক পরিবেশ এবং আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে সংশয় ও সন্দেহের দানা বাঁধবে।’

বিজ্ঞাপন

‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, খালেদা জিয়া তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলোর প্রতিবাদ করেননি। এটা সম্পূর্ণভাবে মিথ্যাচার। আমরা এখানে (নয়া পল্টন কার্যালয়) সংবাদ সম্মেলন করেছি। শুধু তাই নয়, উকিল নোটিস পাঠিয়েছি, তার জবাব তিনি (প্রধানমন্ত্রী) এখন পর্যন্ত দেননি। তিনি এই উকিল নোটিসের জবাব না দিয়ে প্রমাণ করেছেন যে, তার বক্তব্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। মিথ্যাচার করেছেন জনগণকে তিনি বিভ্রান্ত করার জন্য’- বলেন ফখরুল।

২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি সেনা সমর্থিত সরকার প্রতিষ্ঠার দিনটিতে গণতন্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আজকে যে রাজনৈতিক সংকট, দেশে যে দুরবস্থার সূচনা হয়েছিল গণতন্ত্রকে হত্যা করে বেআইনি ও অসাংবিধানিক সরকার ফখরুউদ্দিন (ফখরুউদ্দিন আহমেদ) নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছিল। সেই সরকার সম্পূর্ণ পরিকল্পিভাবে গণতন্ত্রকে ধবংস করার নীল নকশা করে ২০০৮ সালে অত্যন্ত বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে আজকের এই সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মীর সরফত আলী সপু, এবিএম মোশাররফ হোসেন, নাজিমউদ্দিন আলম, আসাদুল করীম শাহিন, মুনির হোসেন, রফিক শিকদার।

সারাবাংলা/এজেড/এটি

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন