বিজ্ঞাপন

ওয়ার্নারকে পেয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন আফিফ

January 9, 2019 | 5:54 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

আগের দিনই আফিফ হোসেন ধ্রুব বলেছিলেন ব্যাটিংয়ে ডেভিড ওয়ার্নারের কাছ থেকে তার শেখার অনেক কিছুই আছে। সুবর্ণ সেই সুযোগটি এসে গেল পরের ম্যাচেই। বুধবার (৯ জানুয়ারি) বিপিএলে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে সিলেট সিক্সার্স যখন ৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল ওখন ওপেনার এবং দলপতি ওয়ার্নারের সঙ্গে ৭১ রানের জুটি গড়ে দলকে টেনে তোলেন আফিফ।

ম্যাচটিতে আফিফ সেই খেলাটিই খেললেন সাধারণত যেটা ওয়ার্নার খেলে থাকেন। ওয়ার্নারকে দর্শক বানিয়ে ২৮ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছয় মেরে সাজালেন নিজের ৪৫ রানের ইনিংসটি। আর এই ব্যাটিংয়ের আত্মবিশ্বাস তিনি পেয়েছিলেন ক্রিজে ওয়ার্নার ছিলেন বলেই। ব্যাটিংয়ের সময় ওয়ার্নারের কাছ থেকে টিপসও পেয়েছেন। যা তাকে ওই বিধ্বংসী ইনিংসটি খেলতে জ্বালানি যুগিয়েছে।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে আফিফ জানালেন, ‘ওয়ার্নারের সাথে যখন ব্যাটিংয়ে ছিলাম অবশ্যই জিনিসটা খুব ভালো লাগার ছিল। এতবড় একজন ব্যাটসম্যান তার সাথে ব্যাটিং করছি, তো এই জিনিসটা কনফিডেন্স দিয়েছে। আর… তিনি অনেক কিছু টিসপ টাইপ দিচ্ছিলেন যেগুলো ব্যাটিংয়ের সময় কাজে লেগেছে।’

বিজ্ঞাপন

আফিফ আরও জানান, ‘আমি চেয়েছি আমার নিজের গেমটা খেলার। আমি সবসময় যেটা চেষ্টা করি, ওভাবেই আমি খেলতে চেষ্টা করেছি। বল সিলেক্ট করে ভালো বলগুলো সিঙ্গেলস নেয়ার চেষ্টা করেসি, বাজে বলগুলো চেষ্টা করেসি বাউন্ডারি মারতে।’

নিঃসন্দেহে আফিফের ওই নকই সিলেটের টোন সেট করে দিয়েছে। ক্রিজের অপর প্রান্তে থাকা ডেভিড ওয়ার্নারও ততক্ষণে বুঝে গেছেন উইকেটে রান আছে। তিনিও দুরন্ত বেগে ব্যাট চালালেন। ৪৭ বলে করলেন ৫৯ রান। ছয়ে নামা নিকোলাস পুরানও বাদ গেলেন না। ঝড়ো ব্যাটে ৩২ বল থেকে তুলে নিলেন ৫২ রান। ২০ ওভার শেষে সিলেটের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৬৮ রান।

১৬৯ রানের লক্ষ্য ছুঁতে নেমে ৭ উইকেটে ১৬৩ রান করে চিটাগং ভাইকিংস। দিন শেষে বিপিএলের প্রথম জয়ের স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ে সিক্সার্সরা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমআরএফ/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন