বিজ্ঞাপন

পাকিস্তানিদের চোখে একাত্তরের গণহত্যা নিয়ে প্রামান্যচিত্র

March 16, 2019 | 2:25 pm

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ক্ষমাহীন নৃশংসতা: পাকিস্তানিদের চোখে বাংলাদেশে একাত্তরের গণহত্যা’ ১৯৭১-এর না বলা গল্প। প্রামান্যচিত্রে পরিচালক ফুয়াদ চৌধুরী পাকিস্তানিদের চোখে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সেনাদের নির্মম বর্বরতার চিত্র নতুন আঙ্গিকে তুলে এনেছেন।

এক ঘণ্টার এই প্রামাণ্যচিত্রে চারজন পাকিস্তানি নাগরিকের সাক্ষাতকার নেয়া হয়েছে- রওশন জামির, ১৯৭১ সালে যিনি যশোরের পাক প্রশাসক ছিলেন এবং পরে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সচিব হিসেবে অবসর নেন। তারেক খান, যুদ্ধকালের সাংবাদিক, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া শেষ কার্গোতে তিনি দেশ ছাড়েন। মোয়াজ্জেম খান, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তার সন্তান। ১৯৭১ সালে তিনি ছিলেন একজন স্কুলছাত্র এবং তারা ছিলেন জেনারেল নিয়াজীর প্রতিবেশী; এবং তারেক ফতেহ, লেখক ও কলামিস্ট। চারজনই মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নৃশংসতার কথা স্বীকার করে এর বিশদ বর্ণনা দিয়েছেন।

প্রামান্যচিত্র সম্পর্কে পরিচালক ফুয়াদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রামান্যচিত্রে চারজন পাকিস্তানি নাগরিক মুক্তিযুদ্ধে তাদের বাহিনীর পাশবিক নৃশংসতার বর্ণনা দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের ওপর গবেষণা এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্যে তাই এই তথ্যচিত্রটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবগুলো থেকে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এটি প্রদর্শন করার জন্যে। দেশজুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও ছবিটি দেখানোর পরিকল্পনা রয়েছে আমার।’

বিজ্ঞাপন

ফুয়াদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে টেলিভিশনের ওপর উচ্চতর পড়াশোনা করেছেন। তিনি কানাডা ও ভারতে চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন বিষয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। তিনি কানাডায় অবস্থানকালে চার বছরের নিরলস পরিশ্রমে ‘ক্ষমাহীন নৃশংসতা’ তৈরি করেছেন। সাবিনা বারী লাকি ছবিটির চিত্রনাট্য লিখেছেন। কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে এই প্রামাণচিত্রটি প্রদর্শিত হয়ে প্রশংসা লাভ করেছে।

১৬ মার্চ (শনিবার) বিকেল সাড়ে চারটায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আলোর ইশকুল কার্যক্রমের আয়োজনে ‘ক্ষমাহীন নৃশংসতা : পাকিস্তানিদের চোখে বাংলাদেশে একাত্তরের গণহত্যা’ শীর্ষক প্রামাণচিত্রের বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/পিএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন