বিজ্ঞাপন

রাজনীতিকদের নিয়ে বিএনপির ৩০ টাকার ইফতার

May 28, 2019 | 8:19 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: জোট শরিকসহ বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে ইফতার করেছেন বিএনপি নেতারা। খালেদা জিয়ার সম্মানে এই ইফতারে জনপ্রতি বরাদ্দ রাখা হয় ৩০ টাকার খাবার।

বিজ্ঞাপন

ইফতারে খাবারের আইটেমে ছিল এক পিস জিলাপি, এক পিস চপ, এক পিস বেগুনি, দুইটি খেজুর, একমুঠো মুড়ি, সামান্য ছোলা এবং ছোট্ট একটি পানির বোতল।

আরও পড়ুন- খালেদা জিয়ার ইফতার ৩০ টাকায়, বিএনপিরও তা-ই

২২ রমজান মঙ্গলবার (২৫ মে) রাজধানীর লেডিস ক্লাবে এই ইফতার মাহফিল আয়োজন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

ইফতার গ্রহণের আগ মুহূর্তে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ মিথ্যা একটি মামলায় কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। এই রমজান মাসে যখন আমরা ইফতারে সমবেত হয়েছি, তখন তিনিও বন্দি অবস্থায় পিজি হাসপাতালের ছোট্ট একটি কক্ষে ইফতারের জন্য অপেক্ষা করছেন। তার ইফতারের জন্য সরকারের বরাদ্দ মাত্র ৩০ টাকা।’

‘সেই কারণে আমরা আমাদের ইফতার আয়োজনও ৩০ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছি। অতিথিদের কাছে আমরা অনুরোধ জানাব, আপনাদের কষ্ট হলেও দয়া করে এটিকে স্বীকার করে নেবেন কেবল নেত্রীর প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য,’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আমাদের আজকের এই ইফতার এবং দোয়া নিবেদন করতে চাই আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রতি, হাজার হাজার নেতাকর্মী—যারা কারাগারে বন্দি আছেন, নিখোঁজ আছেন এবং নির্যাতিত হয়েছেন, তাদের প্রতি।’

জগদ্দল পাথরের মতো জবরদখলকারী সরকার বাংলাদেশের বুকের ওপর চেপে বসেছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়ে, গণতন্ত্রের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়ে আজ একদলীয় শাসন ব্যবস্থা আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা এক ভয়াবহ পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।’

ইফতার মাহফিলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সায়ীদ, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন উপস্থিত ছিলেন। তবে ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ দুই নেতা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব এই ইফতার আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন না।

বিজ্ঞাপন

২০ দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য হামিদুর রহমান আজাদ, প্রচার সম্পাদক তাসনীম আহমেদ, ঢাকা উত্তরের আমীর সেলিম উদ্দীন, কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আব্দুল হালিম, খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহম্মদ ইবরাহিম, মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, মুসলীম লীগের মহাসচিব শেখ জুলফিকার বুল বুল চৌধুরী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ডা. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, পিপলস লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাহবুব হোসেন, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মণিসহ অন্যরা।

বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরুদ্দিন সরকার, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুর, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বরকত উল্যা বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিবসহ অন্যরা।

এই ইফতারে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে দাওয়াত দেওয়া হলেও দলটির কোনো নেতাকর্মী অংশ নেননি।

সারাবাংলা/এজেড/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন