বিজ্ঞাপন

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ, টাঙ্গাইলের অপূর্বের যাবজ্জীবন

September 15, 2019 | 7:58 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলা ও বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় টাঙ্গাইলের অপূর্ব সরকার নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সাজা দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. খাদেম উল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডের পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও চার মাস বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।

রায় ঘোষণার সময় আসামি অপূর্ব অনুপস্থিতিত ছিলেন। তিনি টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুরের সিংজুড়ির গৌর চন্দ্র সরকারের ছেলে।

মামলার অভিযোগ থেকে যানা যায়, অভিযুক্ত আসামি অপূর্ব সরকারের সঙ্গে ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর পরিচয়ের ‍সূত্র ধরে তাকে ডেসটিনি গ্রুপের মালিবাগ হোসাফ টাওয়ার নামক বিল্ডিংয়ে একটি প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তি  করে দেন। প্রশিক্ষণ শেষে আসামি ওই তরুণীকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখান, একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন।

বিজ্ঞাপন

২০১১ সালের ১১ এপ্রিল ডেসটিনি অফিস থেকে মিটিং শেষে ওই তরুণীকে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তাকে মহাখালী এমএ ম্যানশনে নিয়ে যান অপূর্ব। এসময় তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তিনি রাজি হন এবং স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন।

পরে ওই তরুণী অপূর্বকে বিয়ের চাপ দিলে ২০১১ সালের ১৩ এপ্রিল ঢাকেশ্বরী মন্দিরে নিয়ে তার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে বলে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি করেন। কিন্তু তাকে শ্বশুরবাড়ি না নিয়ে যাওয়ায় ওই বছরের ১৬ মে তরুণীটি তার মা ও বোনকে নিয়ে ডেসটিনি অফিসে গেলে অপূর্ব অঙ্গীকারনামা দেন, অর্থনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তাকে ঘরে তুলে নেবেন।

বিয়ের দুই বছর পর অপূর্ব ওই তরুণীকে জানিয়ে দেন, তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দেবেন না এবং ঘরে তুলে নেবেন না। পরে ওই তরুণী ২০১৩ সালের ২১ মার্চ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

বিজ্ঞাপন

মামলাটির বিচারকাজ চলাকালে আদালত চার্জশিটভুক্ত ১১ জন সাক্ষীর  ১০ জনের সাক্ষ্য নেন।

সারাবাংলা/এআই/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন