বিজ্ঞাপন

‘মুক্তিযুদ্ধ কর্নার স্থগিত রেখে ঘাস লাগাতে ব্যস্ত রাবি প্রশাসন’

October 28, 2019 | 8:53 pm

রাবি করেসপন্ডেন্ট

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে মুক্তিযুদ্ধ কর্নারের কাজ স্থগিত রেখে প্রশাসন ঘাস লাগাতে ব্যস্ত বলে অভিযোগ করেছেন রাবির সরকার সমর্থিত শিক্ষকদের একাংশ। এছাড়া উপাচার্যের ‘জয় হিন্দ’ উচ্চারণ ও উপ-উপাচার্যের ‘নিয়োগ বাণিজ্য’সহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের অপসারণ দাবি করেছেন তারা। গত ৩ অক্টোবর থেকে এসব দাবিতে শিক্ষকরা এই আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।

বিজ্ঞাপন

আন্দোলনে ধারাবাহিকতায় সোমবারও (২৮ অক্টোবর) তারা ৬ষ্ঠ দিনের মত দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষক সমাজের ব্যানারে প্রশাসনের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করে। বিশ্ববিদ্যালয়টির সিনেট ভবনের সামনে বেলা ১১ টার দিকে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় রাবির ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. সুলতান উল ইসলাম বলেন, ‘লাইব্রেরিতে মুক্তিযুদ্ধ কর্নারের কাজ স্থগিত রেখে সাতটি পুকুর নিয়ে গবেষণা ও সৌন্দর্য্য বর্ধনের কাজ করা হচ্ছে। যারা মুক্তিযুদ্ধ কর্নারের কাজ স্থগিত রেখে সৌন্দর্য্য বর্ধনের নামে ঘাস উঠানো ও লাগানোতে ব্যস্ত তাদের আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের প্রশাসন হিসেবে উল্লেখ করতে পারি না।’

মানববন্ধনে শিক্ষকরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌন্দর্য্য বর্ধনের নামে একবার ঘাস লাগানোর নামে ঘাস উঠিয়ে আবার ঘাস লাগানো হয়েছে। এবার সেই ঘাস তুলে প্যারিস রোডে ফুটপাত বানানো হচ্ছে। এর মাধ্যমে প্রশাসন টাকা আত্মসাৎ করেছে। এছাড়াও যেখানে শ্রেণিকক্ষ সংকট, চেম্বার সংকট, ল্যাব সংকট সেখানে এসব প্রকল্প বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থের অপচয় করছে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে পঞ্চম দিনের মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে বর্তমান প্রশাসনের দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তাদের অপসারণ না করা পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে সোম ও বৃহস্পতিবার কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন।

ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ মুহাম্মদ আলী রেজার সঞ্চালনায় মানবন্ধনে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শহিদুল ইসলাম, আইন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ, সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুজিবুল হক আযাদ খান, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ও সাবেক প্রক্টর তরিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সাবেক প্রশাসক ড. সফিকুন্নবী সামাদী, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এস এম হায়দার, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ড. মো. জিন্নাত আরা বেগম, গণিত বিভাগের অধ্যাপক আশাবুল হক, সাবেক ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/পিটিএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন