বিজ্ঞাপন

লন্ডন স্টক মার্কেটে বাংলা বন্ড চালু

November 11, 2019 | 9:28 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: লন্ডন স্টক মার্কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে তালিকাভুক্ত হলো বাংলা টাকা বন্ড। সোমবার (১১ নভেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আনুষ্ঠানিকভাবে লন্ডন স্টক মার্কেটে বাংলা বন্ড তালিকাভুক্তি উদ্বোধন করেন।

বিজ্ঞাপন

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রিং দ্যা বেল নামের এই অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আজ বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। বাংলা বন্ড চালু বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশের একটি বড় পদক্ষেপ। এই বন্ড চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রবাসী বিনিয়োগ আরও সহজ হবে।’

এ সময় অর্থমন্ত্রী বাংলা বন্ড চালুর পেছনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানের কথাও উল্লেখ করেন। এমনকি বাংলা বন্ড নামকরণটিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বলে জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

অর্থমন্ত্রী এ সময়, আইএফসি ও লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এমন একটি ঐতিহাসিক দিনকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে উৎসর্গ করলাম।’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আইএফসির এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট নেনা স্টেলকোভিক, ব্রিটেনের বাংলাদেশ হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনীম, বিডার চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মনোয়ার আহমেদ।

এদিকে লন্ডনের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে নয়টায় লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের সেমিনার রুমে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের দেন।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিনিয়োগে উৎসাহ দেওয়ার জন্য লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে চালু হয়েছে ‘বাংলা টাকা বন্ড’। এটি হবে টাকা বন্ড। এই বন্ডের আকার হবে ১০০ কোটি ডলার। কিন্তু প্রাথমিকভাবে বাজার থেকে তোলা হবে এক কোটি মার্কিন ডলার বা ৮৪ কোটি টাকা। প্রবাসীরা ডলারে এই বন্ড কিনলেও প্রথমবারের মতো তা টাকায় রূপান্তর করে দেশের বিভিন্ন অবকাঠামোগত প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হবে। বিশ্বব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) হবে এই বন্ডের ইস্যু ম্যানেজার।’

এ সময় অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এই বন্ডের মাধ্যমে আমাদের দীর্ঘ মেয়াদী অর্থায়নের পথচলায় একটি ধাপ শুরু হলো, যা আমাদেরকে ২০৪১ এর স্বপ্ন ও বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে সহায়তা করবে। এই প্রথম বাংলাদেশের টাকা কোনো আন্তর্জাতিক ফিন্যান্সিয়াল মার্কেটের সঙ্গে সংযুক্ত হতে যাচ্ছে। টাকা লন্ডন স্টক মার্কেটে লেনদেন হবে। যে কেউ এই বন্ড কিনতে পারবে। ডলার দিয়ে এই বন্ড কিনতে হবে। সেই ডলার টাকায় কনভার্ট হয়ে তা বিনিয়োগ করা হবে।আইএফসি বাংলাদেশে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ করেছে। এই এক বিলিয়ন ডলার ‘টাকা বন্ড’ ছাড়ার মাধ্যমে তাদের বিনিয়োগ আরও বাড়বে।’

উল্লেখ্য, ২০১১ সাল থেকে এ ধরনের বন্ড ছাড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। পরে ২০১৫ সালে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ’র বার্ষিক সভায় তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সাথে আইএফসি’র নেতৃবৃন্দের এক বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। ওই সময় বন্ড ছাড়ার প্রস্তাব দিলে তখনই প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর আইএফসি বাংলাদেশ সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠায় এবং তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অর্থমন্ত্রণালয় একই বছর (২০১৫) ৪ অক্টোবর এক চিঠিতে ‘টাকা বন্ড’ ছাড়ার অনুমোদনের বিষয়টি জানায়।
প্রবাসীদের জন্য ‘ডলার বন্ড’ থাকলেও বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মতো ‘টাকা বন্ড’ ছাড়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে এই বন্ডের মাধ্যমে যে অর্থ উত্তোলন করা হবে তা আইএফসি অর্থায়নের পরিচালিত বিভিন্ন অবকাঠামোগত প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন