বিজ্ঞাপন

সড়ক সংস্কারে নেই পর্যাপ্ত বরাদ্দ

December 19, 2019 | 2:19 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: মাটির গঠন ও ওভারলোডের কারণে দেশের সড়কগুলোতে ভাঙে দ্রুত। ফলে সংস্কার করতে হয় বারবার। তবে সংস্কারের বিপরীতে সরকারের পক্ষ থেকে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে কম। গত অর্থবছরে চাহিদার মাত্র ১৯ শতাংশ অর্থ পেয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর। সংস্থাটির ১০ বছরের চাহিদা ও অর্থ বরাদ্দের চিত্রে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে মহাসড়কের লাইফ টাইম এর উপর আয়োজিত সেমিনারে এসব তথ্য জানায় সড়ক ও জনপথ অধিদফতর।

সেমিনারে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য একাব্বর হোসেন।

সেমিনারে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রকৌশলী এ কে মোহাম্মদ ফজলুল করিম। তিনি বলেন, গত অর্থ অর্থবছরে সড়ক সংস্কার ও অবকাঠামো সংরক্ষণে সংস্থাটির দরকার ছিলো ১১ হাজার ৮৮৪ কোটি টাকা। অথচ বরাদ্দ পাওয়া গেছে মাত্র ২ হাজার ২২৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এর আগের ৯ অর্থবছরের কোনোবারই পর্যাপ্ত অর্থ মেলেনি।

বিজ্ঞাপন

সেমিনারে বলা হয়, মাটির কম ভারবহন ক্ষমতা, জনসংখ্যার ঘনত্ব এবং স্থানীয় নির্মাণ সামগ্রী অপ্রতুল হওয়ায়, বাংলাদেশের রাস্তা নির্মাণের খরচ তুলনামূলক বেশি। এছাড়াও ওভারলোডের কারণে অন্যদেশের তুলনায় বাংলাদেশ মহাসড়কের আয়ুস্কাল কম বলে দাবি করেন একে এম ফজলুল করিম।
তিনি বলেন, ৫ শতাংশ ওভারলোড হলে সড়কের স্থায়ীত্ব কমে ১৮ শতাংশ আর ১০ শতাংশ ওভারলোডে রাস্তার আয়ুস্কাল কমে ৩২ শতাংশ।

বুয়েটের অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, মহাসড়ককে টেকসই করতে ওভারলোডিং কমাতে হবে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী সড়ক মহাসড়কের রাস্তা নির্মাণ করতে হবে। রাস্তার পাশে যাতে পানি না জমে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সমন্বিত উপায়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে সড়কের লাইফ টাইম নিশ্চিত হবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেজে/জেএএম

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন