বিজ্ঞাপন

নিজের লাইসেন্স নিজেই দিয়েছিলেন তামিম!

March 2, 2020 | 7:18 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

সিলেট থেকে: বেশ কয়েক বছর হলো ব্যাটিং ধরন বদলেছেন তামিম ইকবাল। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে এর আগে লাল সবুজের জার্সি গায়ে যে মারকুটে ওপেনারকে দেখা যেত সেই তামিমকে এখন অতশী কাচের নিচে খুঁজতে হয়! তিনি অবশ্য বলছেন- ধরে খেলছেন। এবং সেটা নাকি টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তেই। কিন্তু বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ নেইল ম্যাকেঞ্জি শোনালেন অন্য কথা! বাংলাদেশের কোনো প্লেয়ারকেই নাকি এমন ভূমিকা দেওয়া হয়নি। তাহলে কি বলা যায় না এতদিন নিজের লাইসেন্স নিজেই দিয়েছিলেন চট্টলার এই সন্তান?

বিজ্ঞাপন

তাতে সমস্যা ছিল না যদি তা দলের জন্য সুখকর কিছু বয়ে আনত। বরং প্রকারান্তরে তার কচ্ছপ গতির ব্যাটিং দলের রানের লাগাম টেনে ধরছে। পাওয়ার প্লে’তে ব্যাটিংয়ে নেমে ধীরলয়ের ব্যাটিংয়ে ডট বল খেলে চাপে ফেলে দিচ্ছেন ক্রিজের অপর প্রান্তের ব্যাটসম্যানকে। তাতে দলের ওপরেও তৈরি হচ্ছে বিস্তর চাপ। মিডল অর্ডারে কেউ খেললে সেই চাপ জয় সম্ভবপর হচ্ছে, নয়তো হচ্ছে না।

তার এমন ব্যাটিং নিয়ে সমালোচনা আগেই হতে পারত কিন্তু হয়নি। সেটা অন্য কোনো কারণে নয়, দেশের জন্য তার অবদানের কথা ভেবেই। কিন্তু বিশ্বকাপে তার নিস্প্রভ পারফরম্যান্সের পর অনেক সংবাদ মাধ্যমই বিষয়টি সামনে এনেছে।

কেননা গেল বিশ্বকাপে মাশরাফির পর বাংলাদেশের হাহাকারের আরেক নাম ছিলেন তামিম ইকবাল। ৮ ম্যাচে তার গড় ২৯ দশমিক ৩৭ ও স্ট্রাইকরেট ছিল মাত্র ৭১ দশমিক ৬৪। এরপরে শ্রীলঙ্কায় গিয়ে হয়েছেন আরো ব্যর্থ। ৩ ম্যাচে মোটে করেছেন ২১ রান। পারেনি চলতি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতেও।

বিজ্ঞাপন

১২তম ওয়ানডেতে এসেও নিজেকে শুধরে নিতে পারেননি তামিম। তাই দেশের সংবাদ মাধ্যমগুলো তার সমালোচনায় সরব হয়েছে।

সেই সূত্র ধরেই সোমবার (২ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তামিমের ব্যাটিংয়ের ধরন নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল ব্যাটিং কোচ নেইল ম্যাকেঞ্জির কাছে। সেখানে এই প্রোটিয়া সাফ জানিয়ে দেন তামিমকে এভাবে খেলতে বলা হয়নি।

বিজ্ঞাপন

‘তামিম জানে তার কি করা দরকার। এটা করে দিলে (ভূমিকা ঠিক করা) উলটো ক্ষতির কারণ। আমাদের কথা হয়েছে। আমরা অনুভব করছি তার আরো দুটো বাউন্ডারি বেশি মারা উচিত। কোনো অ্যাপ্রোচ নিতে হবে সেটাও সেই বুঝবে। কেউ তামিমের হয়ে ব্যাট করবে না। তাকেই তার খেলাটা খেলতে হবে। এটা দ্রুত বা ধীর খেলারও ব্যাপার না। আমরা জানি একটা প্লাটফর্মের জন্য তাকে কত দরকার দলে। আগে সে এটা করেছেও। আমরা জানি সে কি করতে পারে। গত বছর বিপিএলের ফাইনালে আমরা তাকে বড় সেঞ্চুরি করতে দেখেছি।’

৫০ ওভারের ক্রিকেটে লাল সবুজের জার্সি গায়ে শেষ ১২টি ওয়ানডেতে তামিমের ব্যাট থেকে এসেছে মোট ২৮০ রান। রান গড় ২৩ দশমিক ৩৩। আর স্ট্রাইক রেট ৫৫ দশমিক ৫৫! সবশেষ সেঞ্চুরিটি এসেছিল ২০১৮ সালের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে। এরপর ১শ’র ওপরে স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেছিলেন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। বিশ্বকাপ থেকে আজ অব্দি তার ফিফটি ১টি। পাওয়া প্লে’তে শতকরা ৪৮ ভাগ ইনিংসেই তিনি ডট বল খেলেছেন। এর চাইতেও পরিতাপের বিষয় হলো দেশ সেরা ওপেনার হওয়া সত্বেও সবশেষ ১২টি ওয়ানডেতে তার ব্যাটে কোনো ছক্কা দেখা যায়নি!

তাহলে কি আমরা ধরে নেব যে তামিম তার সেরা সময় ফেলে এসেছেন?

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমআরএফ/এসএস

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন