বিজ্ঞাপন

অস্ত্র উদ্ধারে করোনা আক্রান্ত ওসি, পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ!

June 18, 2020 | 11:21 am

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

নোয়াখালী: করোনা মহামারিতে যোদ্ধার মতো মাঠে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরই মধ্যে পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর কয়েক হাজার সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া মৃত্যুবরণও করেছেন অনেকে। কিন্তু এর মধ্যেই করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরও আসামিকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে গিয়ে পুলিশের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সামাদ।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৭ জুন) দুপুরে সাইমুন হত্যা মামলার প্রধান আসামি ও ফোর্স নিয়ে সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আলোকপাড়া এলাকায় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধারে যান তিনি। এর আগে গত সোমবার (১৫ জুন) ওসি সামাদের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে করোনা মহামারিতে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি আইন অমান্য করে করোনা আক্রান্ত হয়েও প্রকাশ্যে অভিযানে যাওয়া তার উচিত হয়নি। এতে এলাকায় করোনা সংক্রমণ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় সাধারণ জনগণ করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি আইন পালনে নিরুৎসাহিত হবে।

এ বিষয়ে জানতে ওসি আবদুস সামাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে সোনাইমুড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিসান আহমেদ বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ বোধ করায়, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অভিযানে অংশ নেন।’

বিজ্ঞাপন

এ নিয়ে পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘এ ব্যাপারে তার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া তাকে জেলা কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত ৯ জুন বিকেলে আলোকপাড়া গ্রামের কয়েকজন যুবক ফুটবল খেলতে যায়। খেলার মাঠে মীর হোসেনের সঙ্গে সাইমুনের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মীর হোসেন খেলার মাঠ ছেড়ে চলে যায়। পরে সে ১০/১৫ জন সহযোগী নিয়ে সাইমুনের ওপর হামলা চালায়। এতে সাইমুন মৃত্যুবরণ করে। এরপর থেকে মীর হোসেন পলাতক ছিল। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/পিটিএম

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন