বিজ্ঞাপন

আ.লীগের আয় বেড়েছে ৩৫ শতাংশ

July 29, 2020 | 2:14 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ২০১৮ সাল শেষে আওয়ামী লীগের তহবিলে মোট জমা ছিল ৩৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। ২০১৯ সাল শেষে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫০ কোটি ৩২ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক বছরে আওয়ামী লীগের আয় বেড়েছে ৩৫ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৯ জুলাই) দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন অফিসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আয়-ব্যয়ের হিসাব-২০১৯ বর্ষপঞ্জি এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এর বিষয়ে লিখিত মতামত জমা দিয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ।

আরও পড়ুন- রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন ও আয়-ব্যয়— ২ ইস্যুতে ইসিতে যাচ্ছে আ.লীগ

তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালের শেষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বমোট অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫০ কোটি ৩৭ লাখ ৪৩ হাজার ৫৯৩ টাকা। এর মধ্যে নগদ আছে ৫ লাখ ১৩ হাজার ৭১৭ টাকা এবং ব্যাংকে জমা আছে ৫০ কোটি ৩২ লাখ ২৯ হাজার ৮৭৬ টাকা। এর মধ্যে ৪০ কোটি টাকার এফডিআর রয়েছে। এই পঞ্জিকাবর্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আয় শতকরা ৩৫ ভাগ বেড়েছে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ ও দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া নির্বাচন কমিশনে যান। সেখানে তারা ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীরের কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাব ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ এর লিখিত কপি হস্তান্তর করেন।

আবদুস সোবহান গোলাপ জানান, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তহবিলে নগদ ছিল ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৯৬৮ টাকা। ওই সময় ব্যাংক হিসাবে জমা ছিল ৩৭ কোটি ৫২ লাখ ৬৪ হাজার ৮৭০ টাকা। সব মিলিয়ে ২০১৮ সালে দলের তহবিলে মোট ৩৭ কোটি ৫৬ লাখ ৩ হাজার ৮৩৮ টাকা জমা ছিল।

বিজ্ঞাপন

গত বছর, অর্থাৎ ২০১৯ সালের দলের আয়ের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, এ বছরে দলের আয় হয়েছে ২১ কোটি দুই লাখ ৪১ হাজার ৩৩০ টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১২ কোটি ৩২ লাখ ৩০ হাজার টাকা আয় হয়েছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বিক্রির মাধ্যমে। গত বছর দলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল ছিল। কাউন্সিল উপলক্ষে উঠেছিল ৩ কোটি দুই লাখ ৫৫ হাজার ৮০০ টাকা। এছাড়া ব্যাংক লভ্যাংশ বাবদ ২ কোটি ৩৩ লাখ ৭৫ হাজার ২২৩ টাকা ও সংসদ সদস্যদের চাঁদা থেকে এক কোটি ৭ লাখ ৬৪ হাজার টাকা উঠেছিল।

এছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের মাসিক চাঁদা, জেলাভিত্তিক প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ চাঁদা ও প্রাথমিক সদস্য ফরম বিক্রি, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের হল ভাড়া, পত্রিকা প্রকাশনা ও বিজ্ঞাপন (উত্তরণ) এবং পুস্তক বিক্রিসহ অন্যান্য খাত থেকে বাকি টাকা আয় হয়েছে বলে জানান গোলাপ।

২০১৯ সালের ব্যয়ের খাত তুলে ধরে দলের ওই সময়ের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ বলেন, ২০১৯ সালে মোট ৮ কোটি ২১ লাখ ১ হাজার ৫৭৫ টাকা খরচ হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জাতীয় সম্মেলন বাবদ খরচ হয়েছে তিন কোটি ৪৩ লাখ ১৪ হাজার ৮০০ টাকা। এছাড়া দলের বিভিন্ন কার্যালয়ের কর্মচারীদের বেতন, বোনাস, আপ্যায়ন ও অন্যান্য খরচ বাবদ ১ কোটি ১৩ লাখ ৭৭ হাজার ৭০০ টাকা, বিভিন্ন অনুষ্ঠান বাবদ ১ কোটি ১৮ লাখ ১৮ হাজার ৮৬৫ টাকা ও সভাপতির কার্যালয়ে ভাড়া বাবদ ৫৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।

এছাড়া নির্বাচন পরিচালনা অফিস, অফিস রক্ষণাবেক্ষণ, ত্রাণ কার্যক্রম, উত্তরণ পত্রিকা প্রকাশনা ও সংশ্লিষ্ট বিষয়, বিভাগীয় জেলা জনসভা ও দলীয় অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা, বিজ্ঞাপন ও পোস্টার প্রকাশনা বাবদ, সাংগঠনিক খরচ, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সার্ভিস চার্জসহ অন্যান্য খাতে বাকি অর্থ ব্যয় হয়েছে বলে জানান গোলাপ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন