বিজ্ঞাপন

সুশান্তের ময়নাতদন্তের সময় লাশকাটা ঘরে কী করছিলেন রিয়া?

August 21, 2020 | 9:04 pm

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক

প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য বেরিয়ে আসছে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনায়। এবার প্রকাশ পেল চাঞ্চল্যকর এক ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে, সুশান্তের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত যে হাসপাতালে হয়েছিল, সেই কুপার হাসপাতালের মর্গে প্রায় ৪৫ মিনিট কাটিয়ে বেরিয়ে আসছেন এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী।

বিজ্ঞাপন

ভারতীয় গণমাধ্যম ‘টাইমস নাও’ থেকে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, সাদা পোষাকে মাথা থেকে মুখ পর্যন্ত ঢাকা রিয়া চক্রবর্তী। সঙ্গে একজন পুরুষ আর একজন সাদা পোশাকের মুখ বাঁধা নারী। সুশান্তের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত যে হাসপাতালে হয়েছিল, সেই কুপার হাসপাতালের মর্গে প্রায় ৪৫ মিনিট কাটিয়ে বেরিয়ে আসছেন তারা। ‘মর্গ’ পুরোপুরি নিষিদ্ধ এলাকা সত্বেও তারা কি ভাবে মর্গে ঢুকলেন এবং এই নিষিদ্ধ এলাকায় এতক্ষণ সময় কাটালেন! এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে।

এই ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার পরপরই নেটাগরিকরা দাবী করছেন- রিয়ার সঙ্গের পুরুষটি হয় স্যামুয়েল মিরান্ডা, অথবা রিয়ার ভাই সৌভিক চক্রবর্তী। ধারণা করা হচ্ছে, রিয়ার পাশের মেয়েটি সম্ভবত সুশান্তের প্রাক্তন বিজনেস ম্যানেজার শ্রুতি মোদী। যদিও এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত করে কিছুই বলা যাচ্ছে না। তবে অনেকেই ধারণা করছেন, এই মামলার পেছনে প্রভাবশালী কোনও ব্যক্তি বা মহলের হাত রয়েছে!

বিজ্ঞাপন

ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, নিয়ম অনুসারে পুলিশের উপস্থিতিতেই, মৃত ব্যক্তির পরিবারের অনুমতি নিয়ে সেই পরিবারের সদস্যরাই একমাত্র মর্গে যেতে পারেন। এক্ষেত্রে রিয়া সুশান্তের প্রেমিকা মাত্র। তা সত্বেও রিয়া চক্রবর্তী ১৫ জুন তারিখে কুপার হাসপাতালের মর্গে সুশান্তের ময়নাতদন্ত চলাকালীন সময়ে গেলেন কেন? পরিবারের বাইরের লোক হওয়া সত্বেও রিয়া কিভাবে মর্গে প্রবেশ করলেন? রিয়া কি মুম্বাই পুলিশের অনুমতি নিয়েছিলেন? এ ব্যাপারে মুম্বাই পুলিশ কিছু জানায়নি কেন? তবে কি ৪৫ মিনিট সেখানে উপস্থিত থেকে সুশান্তের পোস্টমর্টেমের কোনও বিশেষ তথ্যকে কি রিয়া গায়েব করে দিলেন? সুশান্তের মৃত্যুরহস্যে এই সব প্রশ্ন ভাবাচ্ছে সুশান্তের অনুরাগী-সহ সবাইকে!

এদিকে এরই মধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে রিয়া চক্রবর্তী এবং মহেশ ভাটের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। দেখা গেছে, এই চ্যাটে বার বার মহেশ ভাট রিয়াকে সুশান্তের কাছ থেকে চলে আসার জন্য সাহস সঞ্চয় করতে বলেছেন। পাশাপাশি রিয়ার চলে আসার সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে মহেশ ভাট বলেছেন, সুশান্তের সঙ্গ ত্যাগ করলে রিয়ার বাবাও খুশি হবেন! কিন্তু এই তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পর সুশান্ত অনুরাগীদের প্রশ্ন- সুশান্তের ডায়েরির পাতায় রিয়ার বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তীর প্রতি শ্রদ্ধা ভালবাসার কথা লেখা আছে, সেই ইন্দ্রজিৎ কেন রিয়া সুশান্তকে ছেড়ে চলে আসায় খুশি হবেন?

বিজ্ঞাপন

সুশান্তের মৃত্যুরহশ্য নিয়ে এখনো মিলছে না এইসব প্রশ্নের কোন উত্তর! তাই অপেক্ষা ‘সিবিআই’র তদন্তের। তখন হয়ত মিলতে পারে সব প্রশ্নের উত্তর। জানা যাবে এটি আত্মহত্যা নাকি একটি পরিকল্পিত হত্যা!

সারাবাংলা/এএসজি

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন