বিজ্ঞাপন

শ্রীলঙ্কার কঠিন শর্ত, অনিশ্চিত এইচপি দলের সফর

September 13, 2020 | 6:05 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

দু’দিন আগেও শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড নীতিগতভাবে সম্মত ছিল যে, তিন ম্যাচ সিরিজের টেস্টের জন্য টাইগাররা দেশটি সফরে গেলে ৭ দিন কোয়ারেনটাইন করলেই চলবে। কিন্তু হুট করেই লঙ্কান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে এক সপ্তাহ কোয়ারেনটাইন করলে হবে না, করতে হবে ১৪ দিন। শুধু তাই না, আগে যেখানে কথা হয়েছিল কোয়ারেনটাইনে থাকা অবস্থায় সফরকারী বাংলাদেশ অনুশীলন করতে পাবে এখন বলছে সেটাও সম্ভব নয়! এদিকে এইচপি জাতীয় দল ও এইচপিসহ সফরে মোট ৬৫ ক্রিকেটারের যাওয়ার কথা থাকলেও এখন বলছে এক সঙ্গে এত সংখ্যক ক্রিকেটার সফর করতে পারবেন না!

বিজ্ঞাপন

কথা ছিল, আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সঙ্গে বিসিবি’র হাইপারফরম্যান্স ইউনিটও (এইচপি) সফর করবে। এর প্রধান কারণ দুটি, প্রথমত বিসিবি’র এইচপি ইউনিট ও লঙ্কান এইচপি ইউনিটের মধ্যকার সিরিজ মাঠে গড়ানোর কথা রয়েছে। আর দ্বিতীয়ত করোনা অতিমারির কারণে যেহেতু স্বাগতিকরা প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য কোনো দল দিতে পারছে না তাই বিসিবি হাইপারফরম্যান্স দলের বিপক্ষেই মুমিনুলদের সিরিজের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল। কিন্তু হুট করেই আয়োজক দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য নীতিমালার খড়গে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে হাই পারফরম্যান্স দলের সিরিজটি। কেননা তারা বিসিবিকে পাঠানো স্বাস্থ্য নীতিমালায় স্পষ্টত উল্লেখ করে দিয়েছে করোনা অতিমারির সময়ে এত সংখ্যক ক্রিকেটার যেন দেশটি সফর না করে।

আর মূলত বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার জাতীয় দলের মধ্যকার সিরিজটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং আইসিসি’র বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অধীনের সিরিজ। তাই সবার আগে গুরুত্ব পাচ্ছে জাতীয় দলের সিরিজটিই। আর অন্যদিকে এইচপি দলের সিরিজটি জাতীয় দলের মতো কোনো চ্যাম্পিয়নশিপের অধীনে না হওয়ায় পরবর্তী সময়ে আবারও এই সিরিজ আয়োজন করা সম্ভব হবে। তাই জাতীয় দলের সিরিজটিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েই আপাতত এইচপি দলের শ্রীলঙ্কা সফর অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) সংবাদ মাধ্যমকে একথা জানালেন বিসিবি’র হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের চেয়ারম্যান নাইমুর রহমান দুর্জয়।

বিজ্ঞাপন

তিনি বললেন, ‘দুই বোর্ড এখনো পর্যন্ত একমত হয়েছে ৭ দিনের কোয়ারেনটাইন। শ্রীলঙ্কান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা বলছে ১৪ দিনের কোয়ারেনটাইন। একই সঙ্গে আগে যেটা ছিল কোয়ারেনটাইনে থাকা অবস্থায় আমরা অনুশীলন করতে পারবো কিন্তু এখন সেটাতেও নিষেধাজ্ঞা আসছে। কাজেই আমরা আমাদের অবজারভেশনগুলো তাদের জানাচ্ছি। এটা শ্রীলঙ্কা বোর্ডের নিয়ন্ত্রণে না, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অনেক ব্যাপার আছে। সফরে সদস্য সংখ্যাও কমানোর চিন্তা ভাবনা করছে। সেটাও একটা ইস্যু।’

যদি শেষ পর্যন্ত সফরে ক্রিকেটারদের সংখ্যা কমাতেই হয় তাহলে কি হবে? এমন প্রশ্নে দুর্জয়ের উত্তর হলো, সেক্ষেত্রে অবশ্যই জাতীয় দল প্রাধান্য পাবে। যেহেতু মুমিনুলদের সফরটি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ।

‘অগ্রাধিকার তো পাবে জাতীয় দলের সফর। কারণ এইচপি টিমের যে ক্যাম্প সেটা আমরা এখন করতে পারবো তা পরেও করতে পারবো। কিন্তু জাতীয় দলের যে সফর সেখানে কিছুটা সীমাবদ্ধতা আছে। আপনারা জানেন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ব্যাপার আছে। সেক্ষেত্রে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সঙ্গে যদি আমরা এই উইন্ডোটা মিস করি তাহলে নতুন উইন্ডো বা স্লট বের করা কঠিন হবে। সুতরাং জাতীয় দলের টেস্ট সিরিজটা অগ্রাধিকার পাবে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমআরএফ/এসএস

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন