বিজ্ঞাপন

‘বঙ্গবন্ধুকে যারা মুছে দিতে চেয়েছিল তারাই ইতিহাস থেকে মুছে গেছে’

November 15, 2020 | 8:20 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শুধু তাঁর সন্তানদের গর্বিত পিতা নন, তিনি বাঙালি জাতির পিতা। তিনি বিশেষ কোন দলের নেতা নন। তিনি সব বাঙালির নেতা। বঙ্গবন্ধুকে যারা ইতিহাস থেকে মুছে দিতে চেয়েছিল, আজ তারাই ইতিহাস থেকে মুছে গেছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৫ নভেম্বর) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর ওপর আনীত প্রস্তাবে সাধারণের ওপর বিশেষ আলোচনায় অংশ নিয়ে রওশন এরশাদ এসব কথা বলেন।

বক্তব্যের শুরুতেই বিরোধী দলের নেতা গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন ভাষা সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অমর শহিদদের।

রওশন এরশাদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা ও সোনার মানুষ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। মানুষের প্রতি তাঁর অকৃত্রিম ভালবাসা, দেশের জন্য তাঁর সীমাহীন ত্যাগ-তিতিক্ষা, সর্বোপরি আমাদের দিয়ে যাওয়া তাঁর হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ উপহার স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। স্বাধীন দেশে আজও তাঁর আলোতেই পথ চলি আমরা।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘একবিংশ শতাব্দীর এ পর্যায়ে এসে আজও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রাসঙ্গিক আমাদের জন্য। তিনি চেয়েছিলেন একটি শোষণহীন, বৈষম্যহীন উন্নত সমাজ গড়তে। একইসঙ্গে তিনি লালন করতেন উন্নত গণতান্ত্রিক চেতনা। তাঁর এই আদর্শের আলোকেই আজ গড়ে তুলতে হবে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে। বঙ্গবন্ধু ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার অধিকারী। অসাম্প্রদায়িকতাসহ তাঁর জীবনাদর্শকে ধারণ করেই এগিয়ে যেতে হবে আমাদের। দেশে রাজনৈতিক ভিন্নমত রয়েছে, সেটা থাকতেই পারে। আমরা রাজনীতি করি। আমাদের ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক মতবাদ, রাজনৈতিক দর্শন, দলীয় আদর্শ থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।’

বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি হওয়া কোনো আকস্মিক ঘটনা নয় উল্লেখ করে রওশন এরশাদ বলেন, ‘এমন নয় যে, বাঙালি হঠাৎ করেই পেয়ে গেছে তাদের স্বাধীন ভূমি। প্রকৃতপক্ষে বাঙালির জন্য একটি নিরাপদ, শোষণ মুক্ত স্বাধীন রাষ্ট্র নির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শুরুতেই। ৫২-র রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, ৫৪-র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৫৮-র সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ৬২-র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬-র ছয় দফা, ৬৯-র গণঅভ্যুত্থান, ৭০-র নির্বাচন, ৭১-র মুক্তিযুদ্ধ; প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গণতন্ত্রের অতন্দ্রসৈনিক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ছিল কিংবদন্তিতুল্য এক বিশাল ইতিহাস।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমও

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন